অনলাইন ডেস্ক:
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি গতকাল ট্রাইব্যুনালের সামনে দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে রাজনৈতিক দল হিসেবে সহযোগিতার পূর্ণ আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে ফেসবুকে এক পোস্টে নুর লিখেছেন, ১৪ নভেম্বর আন্তার্জাতিক অপরাধা ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাড. তাজুল ইসলামকে উদ্দেশ করে আমার বক্তব্যের তথ্যে বিভ্রাটে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আমার বক্তব্য প্রত্যাহার করছি। চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ায় গণহত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে আইনজীবী অধিকার পরিষদ।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে আইনজীবী অধিকার পরিষদ নেতারা বলেন, নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গণ অধিকার পরিষদ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে বয়স্ক ও তরুণদের সংমিশ্রণে রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে রেজা কিবরিয়াকে আনা হয়। পরে একটি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নুরুল হক নুর সভাপতি এবং রাশেদ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সব তথ্য পূরণ করার পরও ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার আমাদের নিবন্ধন দেয়নি। তবে ৫ আগস্টের পর আমরা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নিবন্ধন পেয়েছি। কিন্তু কতিপয় দলছুট দুষ্কৃতকারী অবৈধভাবে একটা রিট পিটিশন দায়ের করে। আর তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
তারা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। কিন্তু তিনি এই সুযোগ-সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য দুষ্কৃতকারীদের রিটে শুনানি করার জন্য দাঁড়িয়েছেন। অথচ যেটা তার করার নিয়ম নেই। তাই তার পদত্যাগ দাবি করছি।
পরে এদিন রাতে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের বক্তব্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের মর্যাদা ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
এ অবস্থায় নুর ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।