জাতীয় ডেস্ক :
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদকে থাইল্যান্ড নেওয়া হলো।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ২৫মিনিটে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওশন এরশাদকে নিয়ে ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা হয়। তার একান্ত সচিব মামুন হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রওশন এরশাদের ছেলে রাহগির আলমাহি এরশাদ এমপি ও পুত্রবধূসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও তার সঙ্গে রয়েছেন। যাত্রার আগে সাদ এরশাদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মায়ের চিকিৎসা হবে। এজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।
জাপা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন রওশন এরশাদ। গত ১৪ আগস্ট রওশন এরশাদের ফুসফুসে জটিলতা দেখা দেয়। পরে তার অক্সিজেন লেভেল কমতে শুরু করলে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন বেশ কিছুদিন তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কেবিনে নেওয়া হয়। হাসপাতালে থাকাকালেই গত ২০ অক্টোবর আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্বিতীয় দফায় আইসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে ফুসফুসের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি সংসদে গত দুই মেয়াদে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এরশাদের মৃত্যুর পর ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ রংপুর-৩ আসন থেকে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এর আগে ২৩ মে টানা ২৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন রওশন এরশাদ। দ্বিতীয় দফায় গত ১৪ আগস্ট থেকে টানা ৭০ দিনের মতো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
