হোম অন্যান্যসারাদেশ চাঁদাবাজি লুট পাটের অভিযোগে মাগুরার মহম্মদপুর আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাফা সিদ্দিকী লিটনের নামে আরো একটি মামলা

চাঁদাবাজি লুট পাটের অভিযোগে মাগুরার মহম্মদপুর আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাফা সিদ্দিকী লিটনের নামে আরো একটি মামলা

কর্তৃক
০ মন্তব্য 109 ভিউজ

মাগুরা অফিস:
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফা সিদ্দিকী লিটনের নামে আরো একটি মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পানিঘাটা গ্রামের মোহাম্মদ বাবর আলী (৫০) নামে এক ভুক্তভোগী ১৫ জনকে আসামী করে মহম্মদপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অন্যদিকে লিটনের নামে গত ২০ জুলাই বিয়ের আগে কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে এক কিশোরীর পরিবারকে অবৈধভাবে জরিমানা করা ও জরিমানার টাকা না দেয়ায় মালামাল লুট করার অভিযোগে একটি মামলা হয়।

মামলার আসামীরা হচ্ছে মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফা সিদ্দিকী লিটন (৫৩), মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান মোল্যা (৫৫), আক্কাস মোল্যা (৪৩), কামরুল মোল্যা (৪৫), হামিদুর মোল্যা (৩৮), ইমদাদুর ক্যাপ্টেন (৫৫), মহিবুল্লাহ (৪০), রজব আলী (৩৫), হেদায়েত মোল্যা(৩২), মিজানুর রহমান (৫০), মিটুল মোল্যা (৪৫), মুস্তাইন মোল্যা (৫০), রাজা মিয়া (৪০), পাখি মিয়া (৩৫) ও শহিদুল ইসলাম (৫০)।

বাদী তার মামলায় অভিযোগ করেন, আসামীদের সাথে সামাজিক দলাদলি নিয়ে শত্রতা চলছিল তার। গত ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে আসামীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীর বাড়িতে এসে অশ্লিল ভাষায় গালি দিতে থাকে। বাদী ঘর থেকে বের হয়ে আসামীদের নিষেধ করলে আসামী মোস্তাফা সিদ্দিকী লিটন বলে তুই আমাদের নির্বাচন না করে অন্য দলের নির্বাচন করিস আজ তোকে জানে মেরে ফেলবো। সে সময় বাদী ভয়ে আসামী লিটনের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চায়।

তখন আসামী লিটন বলে তোর কোন ক্ষমা নেই, তোকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। চাঁদার টাকা না দিলে তোকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবো। তখন বাদী তার ঘরে থাকা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা হিসেবে আসামীদের হাতে তুলে দেয়। বাকী চাঁদার টাকা পরিশোধ করার সঙ্গতি নেই বলে ক্ষমা চায় বাদী। তখন আসামী লিটন হুকুম দিয়ে বলে শালা আমাদের কথা অমান্য করে ওর সবকিছু ভাঙ্গিয়া ফেল। হুকুম পেয়ে সকল আসামী বাদীর হাফ ওয়াল বসত ঘরে হামলা করে ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে।

এসময় আসামীদের ভয়ে বাদী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রাম ছেড়ে অনত্র পালিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত বাদী ও তার পরিবার বাড়িতে ফিরতে পারে নাই। এতোদিন বাদী আসামীদের প্রাণনাশের হুমকীর কারণে মামলা করতে পারেনি বলে তিনি মামলায় উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারক নাথ বিশ্বাস মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামীরা পলাতক রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গত, মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের পরমেশ্বরপুর গ্রামে বিয়ের আগে কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীর পরিবারকে অবৈধভাবে জরিমানা করার অভিযোগে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সিদ্দিকী লিটনসহ ১৬ জনের নামে গত ২০ জুলাই মামলা করে ভুক্তভোগীর পিতা। ওই মামলায় অভিযোগ করা হয় সালিশী বৈঠকে নির্ধারিত জরিমানার টাকা না দেয়ায় ওই আওয়ামীলীগ নেতা তার লোকজন দিয়ে ওই ভুক্তভোগী বাদীর বাড়ি থেকে একটি গরু, চারটি ছাগল, একটি বাইসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে আসে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন