অনলাইন ডেস্ক:
চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় নদীতে নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টায়ও সন্ধান মিলেনি রিনা আক্তার (৩২) নামের একযাত্রীর। রিনার সন্ধানে ফায়ারসার্ভিস, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
নিখোঁজ রিনা আক্তার পিরোজপুর সদরের বাসিন্দা। তার স্বামী অলি উল্লাহ সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে তাদের অসুস্থ তিন বছরের শিশু সন্তান মাহিনের চিকিৎসা শেষে ওই লঞ্চযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন তথ্য জানান, নিখোঁজ রিনা আক্তারের বড়ভাই রফিকুল ইসলাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে চাঁদপুরের মেঘনায় ঘন কুয়াশায় নোঙর করা একটি কার্গো জাহাজের সঙ্গে সুন্দরবন-১৬ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়ে মুচড়ে যায় সুন্দরবন-১৬ লঞ্চটি। এই ঘটনায় রিনা আক্তার নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। এছাড়া বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে রবিউল নামে একযাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনা সম্পর্কে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার ১০টায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ সুন্দরবন-১৬। এটি চাঁদপুরে মতলব উত্তরে মেঘনা নদীর আমিরাবাদ এলাকায় পৌঁছালে নোঙর করা কার্গো জাহাজ মার্কেন্টাইল-৩ এর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে লঞ্চটি এমন দুর্ঘটনার শিকার হয়।
এদিকে, ওই লঞ্চে আটকা পড়া প্রায় ৮০০ যাত্রীকে বিকল্প দুটি লঞ্চ গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া নৌ পুলিশ সুপার সিকদার বেলায়েত হোসেন, চাঁদপুর থানা ও মোহনপুর ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন বলেও জানান তিনি।
নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ও মোহনপুর ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন। একই সঙ্গে কোস্টগার্ড এবং ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজ নারী যাত্রীর সন্ধানে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ডুবুরি দিয়ে তল্লাশি অভিযান চালায়। কিন্তু এখনো নিখোঁজ রিনা আক্তারের সন্ধান পায়নি তারা।
বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর বন্দরের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল ঘন কুয়াশা। এছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চের যাত্রীদের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। তাতে ৭০০-৮০০ যাত্রী ছিল।