খেলাধূলা ডেস্ক :
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না আম্পায়ারদের। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একের পর এক প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ড, বারবার শিরোনামে আনছে ম্যাচ পরিচালনাকারীদের।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ছিল নো বল বিতর্ক। তা নিয়ে জলঘোলাও কম হয়নি। সময়ের সঙ্গে গড়িয়ে সে বিতর্ক ছাপ ফেলে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচেও। ভেজা মাঠে খেলা গড়ানো থেকে শুরু করে, সে ম্যাচেও প্রশ্ন তোলে নো বলের সিদ্ধান্ত।
তবে সেসব বিতর্ক পেছনে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান ম্যাচ। যে ম্যাচে আম্পায়াররা ১ বল বাকি রেখেই ওভার ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) অজিদের ইনিংসের চতুর্থ ওভার। স্কোরবোর্ডে ১ উইকেট খরচায় সংগ্রহ ২৭ রান। নিজের প্রথম ওভার করতে আসেন নাভিন উল হক। প্রথম বলে শন মার্শকে করা বলে আসে ১ রান। দ্বিতীয় বলে ডেভিড ওয়ার্নার একইভাবে রোটেট করেন স্ট্রাইক।
তৃতীয় বলে থার্ড ম্যান অঞ্চল থেকে বাউন্ডারি সংগ্রহ করেন মার্শ। প্রথম ৩ বল শেষে অজিদের সংগ্রহ ততক্ষণে ৩৩ রান।
চতুর্থ বলে মিড অনে ঠেলে দ্রুতগতিতে ২ রান নেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে মোহাম্মদ নবীর ওভারথ্রোতে, আরও ১ বার প্রান্ত বদল করেন মার্শ-ওয়ার্নার জুটি। এই বলেই ঘটে যত বিপত্তি।
চতুর্থ বলে মোট রান আসার কথা ৩, তবে স্কোরকার্ডের হিসেবে চতুর্থ বলে ২ ও পঞ্চম বলে আলাদা করে যোগ করা হয় আরও ৩। অর্থাৎ একই বলের রান, ভিন্ন ২ বলে যোগ করা হয়। পঞ্চম বলে কোনো রান নেয়া না হলেও ফিল্ড আম্পায়ার ওভার ঘোষণা করেন। আফগানরা ১ বল কম করে, অন্যদিকে অজিদের স্কোরকার্ডে যোগ হয় অতিরিক্ত দুটি রান।
একটি ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনায় মাঠের ২ আম্পায়ারসহ সংযুক্ত থাকেন ৫ জন। এছাড়া টেকনোলজির বদৌলতে মাঠের কোনো কিছুই এখন আর আড়াল থাকে না কোনোভাবে। তবুও বিশ্বকাপের মতো ম্যাচে এত বড় ভুল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জন্ম দিয়েছে তুমুল সমালোচনার। যা কিনা চলতি আসরের আম্পায়ার বিতর্ককে উসকে দিল আরও একবার।