চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ
চরফ্যাশন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের শরীফ পাড়ায় কন্যার সম্পত্তি লালসায় পিতা কামাল হোসেন। সৎভাইয়ের হুমকীর মুখে নিরাত্তায় হীনতায় ফেরদাউসী বেগম। এই বিষয়ে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ফেরদাউসী চরফ্যাশন সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিএনপির নেতা কামাল হোসেনের বড় কন্যা ফেরদাউসী বেগম। ফেরদাউসীর বয়স যখন ২বছর তার মা পিতা কামালের অত্যাচারে আত্মহত্যা করেন। মায়ের ওয়ারিশ হিসাবে ৮০শতক জমির মালিক হন ফেরদাউসী। জিন্নাগড় মৌজার ৭৬৫খতিয়ানে ১৯৮দাগের জমির মধ্যে মাত্র ৫২শতক জমি দেয়া হয় মেয়ে ফেরদাউসীকে।
সেটেলমেন্ট অফিসের ৩০ ধারায় ফেরদাউসীর নামে রেকর্ড হলেও ৩১ধারায় পিতা কামাল হোসেনের নামে বাকী জমি রেকর্ড করা হয় । ওই জমি নিয়ে কন্যা-পিতার মধ্যে রয়েছে দ্বন্দ। এই বিষয় স্থানীয়রা একাধিকবার শালিশ বৈঠক করেছে।
২০১৯ সালে ফেরদাউসী তার ওয়ারিশে পাওয়া জমির উপর ছাদ দিয় ঘর করার পরই ক্ষিপ্ত হয় পিতা ও সৎভাই হাছান। ২০১৪ সালেও কামাল হোসেনের বড় ছেলে রাশেদুল হাছান পিতার-মাতার আত্যাচারে আত্মহত্যা করেন। একই সংসারের দু‘টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিগত ১৫ অক্টোবর/২০ তারিখে মায়ের জমি থেকে সুপারি পারে ফেরদাউসী।
সুপারি পাড়ায় পিতা কামাল হোসেন, সৎ মা আমেনা বেগম শেফু সৎ ভাই এনামুল হাসান আমাকে ঘরে প্রবেশ করে পিটিয়ে বসত ঘরে থাকা ৮০ হাজার টাকা, ১ জোড়া স্বর্ণের রুলি ১টি চেইনসহ ঘর লুটপাট করেছে। বিষয়টি আমি ভোলা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর বিচার চেয়ে আবেদন করি। সর্বশেষ উপায়ান্ত না পেয়ে চরফ্যাশন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ২২১৪/২০ (চরঃ) মামলা দায়ের করেন। মামলা আদালত ২ ডিসেম্বর /২০ তারিখে স্ব-শরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বর্তমানে আমি মামলা করে নিরাপত্তাহীনতা ভোগছি। আমাকে হুমকী ধমকী দিয়ে বেড়াচ্ছে। পিতা কামাল হোসেন মামলা দেওয়ার পরে আমাকে ৬ মাস জেল খাটোনের হুমকি দেয়া হয়। সৎ ভাই হাছান বলে এই ঘরে ২টা আত্মহত্যা হয়েছে আমাদের কিছু হয়নি। ১টা হত্যা করে জেল খাটবো।
ফরদাউস বলেন, আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবী করছি। এই ব্যপারের কামাল হোসেনের মোবাইল নাম্বারের যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানাযায়নি।