রাজনীতি ডেস্ক:
সরকার বিরোধী কর্মসূচিতে ৬ বিভাগে রোডমার্চের ডাক দিয়েছে বিএনপি। তবে রোডমার্চ করার আগেই চট্টগ্রামে প্রস্তুতি সভায় হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়ালো বিএনপির দু’পক্ষ। কেন্দ্রীয় নেতার সামনেই প্রথমে বাকবিতণ্ডা পরে হাতাহাতিতে জড়ান কর্মীরা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। পরে নেতাদের হস্তক্ষেপে তা নিয়ন্ত্রণে আসে।
কেন্দ্রীয় নেতারা আসবেন রোডমার্চে- তা নিয়ে প্রস্তুতি সভা। সেখানেও বিশৃঙ্খল বিএনপি। নিজেরাই জড়ালো সংঘর্ষে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে চট্টগ্রামে দলীয় কার্যালয়ে শুরু হয় প্রস্তুতি সভা। এ সময় ভবনের সামনের সড়কে তর্কে জড়ান দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা। হাতাহাতি থেকে রূপ নেয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরে সব নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় সভা। এ সময়, আগামী নির্বাচনে কারচুপি ঠেকাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বলেন, ভোট চোরদের দিন শেষ, জনগণের বাংলাদেশ। ভোট চোরদের দিন শেষ, বেগম খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ। ভোট চোরদের এবার আর ছাড় দেয়া যাবে না। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার সাজার পেছনে যারা জড়িত সবাইকে জনগণের মুখোমুখি হতে হবে।
এদিকে, দুপুরে সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠ পরিদর্শন করেন বিএনপি নেতারা। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় রোর্ড ও সমাবেশের প্রস্তুতি দেখতে সেখানে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। জেলা ও মহানগরের নেতারাও তার সঙ্গে ছিলেন। সিলেটের সমাবেশে জনস্রোত তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বিএনপি এখন ঐক্যবদ্ধ। আগামীকালের যে রোডমার্চ সেখানে আমাদের আর কোন দাবি নাই, একটাই দাবি- সরকারের বিদায় এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।
আগামী নির্বাচনের আগে দাবি আদায়ে নানা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে বিএনপি। আন্দোলনে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এবার ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ করছে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি।
উত্তরের দুই বিভাগ রাজশাহী ও রংপুরের পর বৃহস্পতিবার ভৈরব থেকে সিলেট এবং ৩ অক্টোবর চট্টগ্রামে তারুণ্যের রোডমার্চ করবে বিএনপি।