মোংলা অফিস :
মৎস্যঘেরে মাছ ছুরিতে বাধা দেয়ায় মোংলার চিলার গাববুনিয়া এলাকায় এক পরিবারের দুইনারী কে পিটিয়ে জখম ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে অহত করেছে একটি চক্র। আহতরা মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ চিকিৎসাধিন রয়েছে।ন্যায় বিচার পেতে আহত নারীর স্বামী বদিয়ার শেখ বাদী হয়ে সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়,মোংলার চিলা গাববুনিয়া এলাকায় ৭০ বিঘার একটি মৎস্যঘেরে মাছ চাষ করেন ব্যবসায়ী বদিয়ার শেখ।গেল ৩১ জুলাই টানা বৃষ্টিপাতের দিন দুপুর আড়াইটার সময় স্থানীয় বাসিন্ধা আবু বক্কর শেখ ও তার মেয়ে পান্না বেগম তাদের চার বিঘার মৎস্য ঘেরের পাশে বদিয়ার শেখের ভেড়ি কেটে দিয়ে মাছ চুরি করতে ছিলেন।
এসময় বদিয়ার শেখের স্ত্রী আসমা বেগম ও তার ভাবী সেলিনা বেগম বাধা দিলে তাদের উপর দেশীয় আস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালায় আবু বক্কর ও তার মেয়ে পান্না বেগম এবং পান্নার স্বামী মিলনসহ তাদের আরোর কয়েক আত্বীয়। তাদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ঘেরের পাশ্বে পেলে রেখে তারা চলে যায়।
পরে খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্ধা হুমায়ন শেখ,জালাল শেখ ও জিলানী শেখ নামের স্থানীয় তিন বাসিন্ধা আহত ওই দুই নারীকে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ ভর্তি করান।সন্ত্রাসীদের দায়ের কোপে আহত আসমা বেগমের হাতের একটি আঙ্গুল কেটে গেছে আর সেলিনা বেগমের পিঠের মেরুদন্ডের হাড়ে ভেঙ্গে গেছে বলে দাবী বদিয়ার শেখের।
আহত আসমা বেগমের স্বামী ও মৎস্যঘেরের মালিক বদিয়ার শেখ জানান,সুন্দরবনের দস্যু ও বন্যপ্রানী পাচারকারী,আবু বক্করের মেয়ের জামাতা মিলন প্রতিনিয়ত স্থানীয় বাসিন্ধাদের বড় বড় ঘেরের মাছ ছুরি করে থাকেন। বাধা দিলে আমাদের উপর হামলা করে। আর মামলার ভয় দেখায়। তার এক আত্বীয় প্রশাসনে চাকুরী করে সেই সুবাধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তারা বেশি সুবিধা পায়। তিনি আরো বলেন,আমার স্ত্রী ও ভাবীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে আমরা এখনো ন্যায় বিচার পাচ্ছিনা।
তবে হামলাকারী পান্না বেগমের দাবী আহত ওইদুই নারী নাটক সাজাতে হাসপাতে ভর্তি হয়েছেন। তবে সরিজমিনে হাসপাতালে গিয়ে আহতদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
এবিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মোংলা থানার এএসআই সাধন জানান,তিনি অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করছেন। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সাথে কথা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা নিতে বলেছি। এর পর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
