হোম অন্যান্যসারাদেশ ঘূর্ণিঝড় আমফানের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে সমগ্র ডুমুরিয়া

ঘূর্ণিঝড় আমফানের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে সমগ্র ডুমুরিয়া

কর্তৃক
০ মন্তব্য 117 ভিউজ

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি :
ঘূর্ণিঝড় আমফানের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে সমগ্র ডুমুরিয়া। ঝড়ে উপকুলীয় বেড়িবাঁধ ভেঙে ১০ গ্রামসহ প্রায় ৫ হাজার বিঘা মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার বসতবাড়ি ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎখাত। ক্ষতির পরিমান ধরা হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।

জানা যায়, বুধবার রাত ৯টা থেকে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড় আমফান ভোর রাত পর্যন্ত ডুমুরিয়া এলাকায় তাণ্ডব চালায়। প্রচণ্ড জলোচ্ছ্বাসে বাঁশতলা ও লতাবুনিয়া এলাকায় নদীর কুলবর্তী রক্ষাবাঁধ ভেঙ্গে ঘেংরাইল নদীর পানি প্রবেশ করে সম্পূর্ণভাবে ২ টি গ্রাম পাবিত হয়। পাউবোর ২৯ নং পোল্ডার বাঁধ ভেঙ্গে শরাফপুর, চাদগড়, আকড়া ও বাহির আকড়া গ্রাম প্লাবিত হয়। নদীতে ১০/১২ফুট পানি বৃদ্ধি হওয়ায় জলোচ্ছ্বাসে তেলিখালী ও বকুলতলা গ্রামের রক্ষাবাঁধ উপচে এলাকা প্লাবিত হয়। ভয়াবহ ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎখাত।
খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহম্মেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহানাজ বেগম ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছে।

পাউবোর কর্মকর্তা এসডি মিজানুর রহমান বলেন, নদীতে প্রচণ্ড পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে শরাফপুরে ২৯ নং পোল্ডারের বাঁধ উপচে ভিতরে পানি প্রবেশ করার ফলে প্রায় ১০০ ফুট এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামত করেছে। এছাড়া বকুলতলা, তেলিখালী, জাবড়া, বাঁশতলা, লতাবুুনিয়া ও বাগআছড়া এলাকায় নদীরকূলবর্তী রক্ষাবাঁধ ভেঙে এলাকা পাবিত হয়েছে। প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডুমুরিয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আবদুল মতিন বলেন, আম্পানের আঘাতে বিভিন্ন স্থানে ৭২ খুঁটি ভেঙে গেছে। প্রায় ১০০ খুঁটি হেলে পড়েছে। ১২০০ টি মিটার নষ্ট হয়েছে। শতাধিক স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। ৭০/৭৫ টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। ১ হাজারের বেশি স্থানে তারের উপর গাছপালা পড়ে আছে। আমরা এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সচল করার জন্য দুর্যোগের আলোর গেরিলা টিম সহ মোট ৯৮টিম কাজ করছে। আমফানে বিদ্যুৎখাতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন বলেন, ডুমুরিয়ায় ২৩৫০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আম্ফানের আঘাতে ডুমুরিয়ার বসতঘর ভেঙে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আমফানে ডুমুরিয়ায় বিশেষ করে উপকুল অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । প্রচন্ড জলোচ্ছ্বাসে লতাবুনিয়া, বাঁশতলা, বাগআঁছড়া, তেলিখালী, বকুলতলা ও জাবড়া এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে এবং দ্রুত বাঁধ মেরামতের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন