জাতীয় ডেস্ক :
নেত্রকোনা সদর উপজেলার মদনপুর কাংসা গুচ্ছগ্রাম থেকে মালয়েশিয়া প্রবাসী রিপন মিয়ার স্ত্রী শরীফা আক্তারের (৩৫) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শরীফার নিজ ঘরের বিছানা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, রাতে মা ও মেয়ে কিশোরী সাদিয়া আক্তার এক বিছানায় একসাথেই ঘুমিয়ে ছিল। সকালে মেয়েটি তার মাকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। পরে স্থানীয়রা মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ ও ময়মনসিংহ সিআইডির একটি চৌকস দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল রিপোর্ট করে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নেত্রকোনারঅতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের মেয়ে ও চাচীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে নিহতের স্বজন ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কাংসা গুচ্ছগ্রামের মহর আলীর মেয়ে শরীফাকে বিয়ে দেন একই ইউনিয়নের মনাং গ্রামের রিপন মিয়ার কাছে। এরপর শরীফা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করত। টাকা জোগাড় করে স্বামী রিপন মিয়াকে গত চার বছর আছে মালয়েশিয়া পাঠিয়েছেন। এদিকে বাবার বাড়ি গুচ্ছগ্রামে তারাও বসবাস করে। সেখানে এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে থাকেন শরীফা। ছেলেটি একটি মাদ্রাসায় পড়ে। মেয়েটি মায়ের সাথেই বাড়িতে থাকে এবং মদনপুর স্কুলে ৭ম শ্রেণিতে পড়ে।
শনিবার (২১ আগস্ট) সকালে ঘুমের মধ্যে শরীর ভেজা লাগায় মেয়েটি উঠে দেখে তার মায়ের গলা কাটা। পরে চিৎকার করলে আশপাশের মানুষ ছুটে গিয়ে দেখে গলাকাটা অবস্থায় বিছানাতেই শুয়ানো। এদিকে সামনের দরজাও ভেতর থেকে লাগানো। তবে পিছনের দরজা খোলা এবং সিঁধ কাটার মতো কিছুটা।
স্থানীয়রা জানান, এ সিঁধ দিয়ে ভেতরে ঢোকার মতো তেমন সুযোগ নেই। হত্যাকাণ্ডকে অন্যদিকে ঘুরাতে এমনটি করা হতে পারে। এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্বজন ও প্রতিবেশীরা সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফখরুজ্জামান জুয়েল বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। মা-মেয়ে একসঙ্গে ঘুমালেও বলতে পারছে না ছুরি দিয়ে কে বা কারা গলা কেটেছে। তবে আমরা নিহতের মেয়েসহ আত্মীয় স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের সঙ্গে কারো কোন বিরোধ ছিল কিনা সেটিও বের করার চেষ্টা করছি।