হোম অন্যান্যলাইফস্টাইল ঘামাচি ও চুলকানি থেকে মুক্তি

ঘামাচি ও চুলকানি থেকে মুক্তি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 11 ভিউজ

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
প্রচণ্ড গরমে শরীর ঘেমে একাকার হয়ে যায়। আর এই ঘামের সঙ্গে যে মূল সমস্যা দেখা দেয় তা হলো ঘামাচি। আকারে ছোট হলেও এর চুলকানির যন্ত্রণা অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। ভ্যাপসা গরমে যদি আপনিও ঘামাচির যন্ত্রণায় ভোগেন তাহলে এ সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তির জন্য মেনে চলতে পারেন কিছু বিশেষ টিপস।

আসুন জেনে নিই প্রচণ্ড খরতাপে ঘামাচি ও চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন-

১. ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন
প্রতিদিন সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার অভ্যাস করুন। আবার রাতে বাড়িতে ফিরেও এমনটা করতে পারেন। এতে অনেকটা প্রশান্তি তো পাবেনই সেইসঙ্গে মিলবে চুলকানি বা ঘামাচি থেকেও মুক্তি। চাইলে গোসলের পানিতে কয়েক টুকরা বরফ মিশিয়ে নিতে পারেন, যদি আপনার ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় না থাকে।

২.মেডিকেটেড ট্যালকম পাউডার করুন
আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে তার পরামর্শ অনুযায়ী ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। তীব্র গরমে এ ধরনের পাউডার ঘামাচি ও চুলকানি থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। এটি শরীরের ঘর্মগ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়ার সমস্যা বন্ধ করে।

৩. শরীর হাইড্রেটেড রাখুন
গরমে শরীর হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। শুধু গরমে না অবশ্য, সারা বছরই জরুরি। কিন্তু গরমে এক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতন থাকতে হয়। কারণ এসময় শরীর থেকে পানি বের হয়ে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। সেখান থেকে দেখা দিতে পারে চুলকানির সমস্যা। তাই গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন ফলমূল রাখুন খাবারের তালিকায়। এ সময় তরমুজ, ডাব, আম, পেঁপে, শসা ইত্যাদি নিয়মিত খেতে হবে। সেইসঙ্গে পানি ও লেবুর শরবতও খেতে হবে।

৪. চন্দন ও হলুদ
চন্দন ও হলুদ কেবল যে রূপচর্চায় কাজে লাগে তা-ই নয়, সেইসঙ্গে এটি চুলকানি কিংবা ঘামাচির সমস্যা সারাতেও কার্যকরী। ২ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে ঘামাচির উপর লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে ধুয়ে নিন।

৫. ফিটিং পোশাককে না বলুন
গরমের সময় টাইট বা ফিটিং পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। শরীরে যেন বাতাস প্রবেশ করতে পারে, সেজন্য ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। টাইট পোশাক পরলেই ত্বকে সংক্রমণ দেখা দেবে। মনে রাখবেন, ত্বকের যেসব স্থানে বেশি ঘাম হয় সেসব স্থানগুলো যাতে পরিষ্কার ও খোলামেলা থাকে। তাহলে ফুসকুড়ি উঠবে না।

৬. বরফ সেঁক নিন
গোসলের আগে প্রতিবার ত্বকের আক্রান্ত স্থানে বরফের সেঁক নিতে পারেন। এতে জ্বালা-পোড়াভাব ও চুলকানি কমবে। একটি তোয়ালের মধ্যে কিছু বরফ নিয়ে পুরো শরীরে কিছু সময়ের জন্য সেঁক নিতে পারেন।

৭. বেকিং সোডা ব্যবহার করুন
বেকিং সোডা ব্যবহারে ত্বকের চুলকানি বা প্রদাহ মুহূর্তেই কমে। এটি ত্বকের সংক্রমণ রোধে দুর্দান্ত একটি ঘরোয়া প্রতিষেধক।
পানির সঙ্গে কয়েক টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করুন। এভাবে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর শরীরে পরিষ্কার পানি ঢেলে গোসল সম্পন্ন করুন।

৮. অ্যালোভেরার নির্যাস মাখুন
অ্যালোভেরার নির্যাস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি সেপটিক উপাদান আছে। যা ত্বক ঠান্ডা করে সংক্রমণ কমায়। ত্বকের অস্বস্তি দূর করতে আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করতে পারেন।

৯. নিমপাতাও উপকারী
নিমপাতা খুব ভালো অ্যান্টিসেপটিক। নিমের তেল, নিমপাতা বাটা দু’টোই খুব ভালো কাজে দেয় চুলকানির সমস্যায়। এজন্য এক বালতি পানিতে এক মুঠো নিমপাতা ভিজিয়ে রোদে রাখুন কিছুক্ষণ। গোসলের পর এ পানি শরীরে ব্যবহার করুন।

১০. টেলকম পাউডার ব্যবহার করুন
গরমে সবাই কমবেশি টেলকম পাউডার ব্যবহার করে থাকেন। এটিও ত্বকের জন্য উপকারী। বিশেষ করে ত্বককে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া থেকে বাঁচায় পাউডার। অবশ্যই সুগন্ধহীন পাউডার ব্যবহার করতে হবে। বগল, কুচকি, ঘাড়, বুকে অর্থাৎ শরীরের ঢেকে রাখা স্থানগুলোতে পাউডার ব্যবহার করতে হবে।

১১. ক্যালামাইন লোশন মাখুন
ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করতে পারেন, যদি আপনার ত্বক অনেক সংবেদনশীল হয়ে থাকে। এ লোশনের মধ্যে জিং অক্সাইড আছে। যা ত্বকের তুলকানি ও প্রদাহ কমায়।তুলায় করে ক্যালামাইন লোশন ত্বকের আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে সানট্যান থেকে শুরু করে ফুসকুড়ি, ঘামাচি, চুলকানিসহ সব সমস্যা দূর হবে। যে কোনো ওষুধের ফার্মেসি থেকে এ লোশন কিনে ব্যবহার করতে পারেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন