হোম ফিচার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু, ২৮ দিনে ১৮২ জনের মৃত্যু

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। একই পরিবারে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যান বলছে, জুনের চেয়ে জুলাই মাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ছয় গুণ ছাড়িয়েছে। চলতি মাসের ১ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছে ১৮২ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজারের বেশি।

এভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়াতে এডিস নিধনসহ জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান।

শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরেজমিন দেখা গেছে, তিল ধারণের ঠাঁয় নেই এ হাসপাতালে। রোগীদের চাপ সামলাতে দুই শিফটে সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। হাসপাতালের ওয়ার্ডে পরিচালকের সঙ্গে কথা সময় সংবাদের।

হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক বিছানায় মা ও তার ছোট মেয়ে। অন্য বিছানায় চিকিৎসাধীন বড় মেয়ে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের এ চিত্রই বলে দিচ্ছে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।

প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসকদের। গুরুতর অবস্থায়ও চিকিৎসা শুরু করতে হচ্ছে দীর্ঘ অপেক্ষা।

ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে আসা এক রোগী জানান, ‘দুই ঘণ্টা ধরে হাসপাতালে এসে অপেক্ষা করছি, কিন্তু এখনও পরীক্ষার নমুনা (রক্ত) নেয়া হয়নি। কখন হবে জানি না।’ আরেকজন বলেন, ‘ঘণ্টা দুই ধরে বসে অপেক্ষা করছি।’

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, বেশির ভাগ রোগী খুব দুর্বল থাকে, মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছে, অথবা তার প্রস্রাব হচ্ছে না, দেহের ভেতরে রক্ষক্ষরণ হচ্ছে; যেকোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে আসতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে শুধু প্রশাসনিকভাবে করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বা সামাজিকভাবে সচেতন হতে হবে। মোটকথা সমষ্টিগতভাবে এটাকে প্রতিরোধ করতে হবে। মূলত ডেঙ্গু বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, জুনে ৫ হাজার ৯৫৬ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েন। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের, জুলাইয়ে সে সংখ্যা ছাড়িয়েছে ছয় গুণ। লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে আশার পাশাপাশি ডেঙ্গুর ভয়াবহতা রোধে জনসচেতনতার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রোগীদের চাপ সামলাতে দুই শিফটে সেবা দিচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সরা। আর স্বাস্থ্য অধিদফতেরর তথ্য বলছে, জুলাইয়ের ১ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৮২ জন আর আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজারের বেশি। এভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে তারা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন