হোম খেলাধুলা গোল করে অপহৃত বাবার মুক্তির আর্জি লিভারপুল তারকার

স্পোর্টস ডেস্ক:

দুই ম্যাচ পর একাদশে ফিরেই গোল করেছেন লিভারপুল ফুটবলার লুইজ দিয়াজ। ইনজুরি কিংবা নিষেধাজ্ঞার কারণে নয়, লিভারপুলের হয়ে দিয়াজ দুই ম্যাচ খেলেননি এক পারিবারিক কারণে। গত মাসের ২৮ তারিখ দিয়াজের বাবা ও মা-কে অপহরণ করা হয়। যার কারণে লিভারপুলের গত দুই ম্যাচে দলের সঙ্গে ছিলেন না তিনি। আর রোববার (৫ নভেম্বর) একাদশে ফিরেই গোল করে একটু ভিন্ন ভাবেই উদযাপন করেছেন কলম্বিয়ার এই তারকা ফুটবলার।

গত মাসের ২৮ তারিখ কলম্বিয়ার বারানকাস শহরের একটি পেট্রল স্টেশনে অপহরণ করা হয় দিয়াজের বাবা মানুয়েল ও মা সিলেনিস মারুলান্দাকে। কয়েকজন অস্ত্রধারী মোটরসাইকেলে এসে দিয়াজের মা-বাবাকে তুলে নিয়ে যায়। যদিও অপহরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ কলম্বিয়া-ভেনেজুয়েলা সীমান্তবর্তী এলাকার চারপাশের রাস্তা অবরোধ করে দিয়াজের মা মারুলান্দাকে উদ্ধার করে। তবে তার বাবা মানুয়েলের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।

রোববার লুটনের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে হারের হাত থেকে বাচায় দিয়াজ। গোল করে নিজের জার্সি উপরে করে সকলকে একটি লেখা দেখান। সেখানে লেখা ছিল, ‘লিবারতাদ প্যারা পাপা’। যার অর্থ, ‘বাবার জন্য স্বাধীনতা’। বাবাকে ফিরে পাওয়ার জন্যই জার্সির নিচে এমনটা লিখে এনেছিলেন দিয়াজ। ম্যাচ শেষে বাবাকে ফিরে পেতে সকলের কাছে সাহায্যও চেয়েছেন দিয়াজ। এক বিবৃতি দিয়ে সাহায্যের কথা জানিয়েছেন কলম্বিয়ার এই ফুটবলার।

বিবৃতিতে দিয়াজ বলেছেন, ‘এখানে খেলোয়াড় দিয়াজ কথা বলছেন না। আজকের লুচো দিয়াজ, লুইস ম্যানুয়েল দিয়াজের ছেলে কথা বলছে। আমার বাবা পরিশ্রমী মানুষ, পরিবারের স্তম্ভ… সে এখন অপহৃত হয়েছে। আমি ইএলএন-কে (দেশটির অপরাধী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার বাবাকে মুক্তি দিতে বলি। আমি তার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অ্যাসোসিয়েশনগুলোকেও এটি নিয়ে কাজ করতে বলেছি।’

দিয়াজ তার বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘প্রতি সেকেন্ডে, প্রতি মিনিটে আমরা আরও বেশি চিন্তা হয়। আমাদের পরিবারের ভয়ঙ্কর অনুভূতিগুলো বর্ণনা করার জন্য আমাদের কাছে কোন শব্দ নেই এবং যতক্ষণ না তিনি বাড়িতে ফিরে আসবেন ততক্ষণ এটি একই রকমই থাকবে। আমি আপনাকে অনুরোধ করছি আমার বাবাকে এখনই মুক্তি দিতে, তার সততাকে সম্মান করে। আমি আপনার সমর্থনের জন্য সমস্ত কলম্বিয়ান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

এদিকে কর্তৃপক্ষরা ধারণা করছে, অপরাধচক্রটি দিয়াজের বাবাকে ভেনেজুয়েলায় পাচার করেছে। মানুয়েলকে কলম্বিয়ান পুলিশের নাগালের বাইরে নিয়ে যেতেই অপহরণকারীরা তাকে ভেনেজুয়েলায় পাচার করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন