বরগুনার আমতলী উপজেলায় মারিয়া আক্তার (১৮) নামে এক নারী গলায় ফাঁস লাগিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। নিহত নারী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমতলী থানায় এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মারিয়ার বাবার নাম সোলায়মান সরকার। তারা চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা। নিহতের পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, এক বছর আগে একই ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের বাবুল মৃধার ছেলে রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে গোপনে তার বিয়ে হয়। পরবর্তীতে তাদের বিয়ে মেনে নেয় দুই পরিবার। এরপর রাকিবুল ঢাকায় রাজমিস্ত্রির শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
জানা গেছে, এর মধ্যে মারিয়া গর্ভধারণ করলে রাকিবুল মাস খানেক আগে তাকে তার বাবার বাড়িতে রেখে যান। তখন থেকে মারিয়া সেখানেই অবস্থান করছিলেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে সোলায়মান সরকারের বাড়ির উত্তর পাশের বারান্দার চালের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। স্বজনরা ঘরের বারান্দায় মারিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খরব দেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। ঘটনার সময় স্বামী রাকিবুল ইসলাম ঢাকায় অবস্থান করেছিলেন।
এদিকে পুলিশ মারিয়ার লাশের ময়নাতদন্ত করতে চাইলেও রাকিবুল ও সোলায়মানের পরিবারের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়। কিন্তু সেটি আমলে না নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠায় পুলিশ।
সোলায়মান বলেন, ‘আমার মেয়ে সন্তান সম্ভাবা। সে কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা কেউ বলতে পারছে না।’
এ ব্যাপারে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’