বিনোদন ডেস্ক:
গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে ও কালিয়াকৈর উপজেলায় কয়েকটি দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকরা। এ সময় প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
রোববার (২৩ মার্চ) ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও একটি আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের অনুরোধে মহাসড়ক ছেড়ে কারখানার প্রধান ফটকে অবস্থান নেন তারা।
জানা গেছে, টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকার বিএসআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের জের কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার প্রতিবাদে রোববার সকাল ৭টা থেকে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে সকাল পৌনে ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে গিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নেন।
কারখানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মার্চ কারখানাটির প্রায় দেড় হাজার শ্রমিকের গত ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস এবং ওভারটাইমের টাকা পরিশোধের তারিখ নির্ধারণের দাবি জানায়। পরে কর্তৃপক্ষের গত ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া আগামী ২৩ মার্চ পরিশোধের তারিখ নির্ধারণ করেন। কিন্তু শ্রমিকরা তখন তা মানতে রাজি না হওয়ায় পরে গত ১০ মার্চ দিনভর কর্মবিরতি পালন শেষে সন্ধ্যায় কারখানা ছেড়ে যান তারা।
পরদিন ১১ মার্চ (মঙ্গলবার) সকালে কাজে যোগ দিতে এসে প্রধান ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখতে পান। এতে শ্রমিকেরা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের অনুরোধে আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে আজ রোববার (২৩ মার্চ) পাওনা পরিশোধে কারখানা মালিকের সিদ্ধান্ত মেনে নেন শ্রমিকেরা।
শ্রমিকরা জানান, তারা বেতন পরিশোধের আগে কাজে যোগ দেবেন না।
বেতন পরিশোধের নির্ধারিত তারিখে আজ সকালেও কারখানায় গিয়ে প্রধান ফটকে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শ্রমিকেরা। পরে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
অপরদিকে, কালিয়াকৈরের একটি কারখানার শ্রমিকেরা ছুটির টাকা, টিফিনের টাকা ও ঈদের বোনাস বাড়ানোর দাবিতে শনিবার থেকে আন্দোলন করে আসছেন। কারখানাটিতে প্রায় ১ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। আজ সকাল ৯টার দিকে কিছুসংখ্যক স্টাফ ও বহিরাগত লোকের হামলায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের তিন-চারজন আহত হন। আহত রাজু (২৫) ও দীন ইসলামকে (৩০) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানার মেইন গেট ও ভেতরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। এ সময় আশপাশের কয়েকটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম জানান, টঙ্গীর শ্রমিক বিক্ষোভ শ্রমিকদের দাবি আদায় করিয়ে দেয়া হবে-এমন আশ্বাস দিয়ে তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।