হোম জাতীয় গাজীপুরের বনে কেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মরদেহ?

জাতীয় ডেস্ক:

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বন থেকে গত শুক্রবার (১৬ জুন) রিয়াদ হোসেন (২১) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের পর রহস্য উদঘাটনে নামে র‍্যাব। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চাচা নাঈম হোসেনের (৩৪) জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় শনিবার (১৭ জুন) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বেরিয়ে আসে হত্যার নেপথ্য কারণ।

‘স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে সৌদি আরব থেকে ফিরে ভাতিজা রিয়াদকে হত্যা করেন নাঈম।’ রোববার (১৮ জুন) উত্তরায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র‍্যাব।

হত্যার শিকার ছাত্র রিয়াদ মিরপুরের প্রাইম ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন। গত ১২ জুন থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। নিহত রিয়াদ ও গ্রেফতার নাঈমের বাড়ি দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার পশ্চিম নারায়নপুর গ্রামে।

র‍্যাব জানায়, পরিবারের হাল ধরতে ২০১৯ সালে সৌদি আরব পাড়ি জমান নাঈম। এরপর থেকেই পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে ছুটে আসতেন ভাতিজা রিয়াদ। তবে নাঈমের অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে। এমন সন্দেহের জেরে দেশে ফিরেই রিয়াদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন নাঈম।

এ হত্যাকাণ্ডের কথা নাঈম স্বীকার করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক মোসতাক আহমদ। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী নাঈম খুনের কথা স্বীকার করেছেন। সেইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তিনি বর্ণনা করেছেন।

মোসতাক আহমদ বলেন, রিয়াদের গতিবিধি এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে নাঈম মনস্থির করেন যে তার ভাতিজাকে হত্যা করবেন। পরে হোস্টেল থেকে ভুক্তভোগী রিয়াদকে ডেকে এনে গাজীপুরের বনের ভেতরে নিয়ে তার পরনে থাকা টি-শার্ট খুলে গলায় ফাঁস দিয়ে রিয়াদের মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, রিয়াদকে হত্যা করতে পলাশ নামে একজনকে ৫০ হাজার টাকাও দেন নাঈম। কিন্তু সে না আসায় নিজেই রিয়াদের পরনে থাকা টি-শার্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন