আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
হামাসের অভিযানের পর গাজায় লাগাতার বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। তবে আকাশপথের পাশপাশি এবার গাজা উপত্যকায় স্থল ও সমুদ্রপথে ‘বিস্তৃত পরিসরে’ হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ইসরাইলি বাহিনীর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে কবে, কখন এই হামলা শুরু হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু উল্লেখ করেনি তারা।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আসন্ন অভিযানকে ‘বিস্তৃত পরিসরের’ আক্রমণ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ইসরাইলি বাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় যুদ্ধসরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। কৌশলগতভাবে সারা দেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযানে বিপুলসংখ্যক রিজার্ভ সেনা অংশ নেবে।
এদিকে ইসরাইলকে সহায়তায় আরও একটি বিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড’ রোধ করতে এই রণতরী পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি দেশটির।
রোববার (১৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক পদক্ষেপ বা হামাসের হামলার পর এই যুদ্ধকে আরও প্রসারিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা ঠেকাতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী ও স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
লয়েড অস্টিন আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় এই বিমানবাহী রণতরী মোতায়েনের মাধ্যমে ইসরাইলের নিরাপত্তা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং এই যুদ্ধ আরও বাড়ানোর যেকোনো প্রচেষ্টাকে বাধা দেয়ার জন্য ওয়াশিংটনের সংকল্পেরই ইঙ্গিত দেয়।’
এর আগে, সংঘাত শুরুর পরপরই গত সপ্তাহে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড এবং এর সঙ্গে থাকা অন্য যুদ্ধজাহাজগুলোকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। এসব যুদ্ধজাহাজ ইতোমধ্যেই ওই অঞ্চলে অবস্থান করছে।