হোম আন্তর্জাতিক গাজায় হাসপাতাল ছাড়ার নির্দেশ রোগীদের জন্য ‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সম্ভাব্য হামলার আগে ফিালিস্তিনের গাজার আল-কুদস হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এ ধরনের অমানবিক নির্দেশকে রোগীদের জন্য ‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ’ বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আল-কুদস হাসপাতাল ও পাঁচটি স্কুল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে।

এ বিষয়ে রোববার (২২ অক্টোবর) ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের মুখপাত্র নেবাল ফারসাখ সিএনএনকে বলেন, রোগীদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার মতো আমাদের কোনো উপায় নেই। হাসপাতালের অধিকাংশ রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ফারসাখ জানান, ইসরাইলি বাহিনীর নির্দেশের পর আল-কুদসসহ মোট ২৪টি হাসপাতাল যেকোনো মুহূর্তে বোমা হামলার হুমকির মধ্যে রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, হামাস সামরিক অভিযানের সময় বেসামরিক সুবিধা ব্যবহার করে। গাজা উপত্যকার বেসামরিক মানুষদের হামাস মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বলেও আইডিএফ জানিয়েছে।

এদিকে, শনিবার (২১) অক্টোবর গাজায় রাতভর ইসরাইলের চালানো হামলায় ৫৫ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (২২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

হামাসের প্রেস অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলা জোরদার করার ঘোষণার পর এই হামলা চালানো হয়। এতে ৩০টিরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।

চলতি মাসের ৭ অক্টেবর ইসরাইলে অতর্কিত রকেট হামলা করে হামাস। একই সঙ্গে ইসরাইলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে দেশটির ভেতরে ঢুকে পড়ে হামাস যোদ্ধারা। তাদের এ হামলায় ইসরাইলের ১৪০০ মানুষ নিহত হন। আর আহত হন অন্তত চার হাজার। গত ৫০ বছরের ইতিহাসে কোনো হামলায় ইসরাইলের এত মানুষের প্রাণ গেল।

অন্যদিকে হামাসের সেই হামলার পর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালানো শুরু করে ইসরাইলি বিমান বাহিনী। তাদের এ হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪ হাজার ৬৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ৭৫৬ শিশুও রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন