আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় সামরিক অভিযানের মাত্রা বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা ইসরায়েলি নিরাপত্তা ক্যাবিনেটে অনুমোদিত হয়েছে বলে শুক্রবার (২ মে) দেশটির সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে ইনেত নামক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, হামাস যতদিন জিম্মিদের ছেড়ে না দিচ্ছে, আমরা সামরিক অভিযানের তীব্রতা বৃদ্ধি করতে থাকব।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আমরা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। তবে গাজায় আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো হামাসকে পরাজিত করা।
ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রবিবার পূর্ণাঙ্গ ক্যাবিনেটে পরিকল্পনাটি অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে।
প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাইয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে কার্যালয়ের মুখপাত্র কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
তবে প্রতিবেদনের দাবি সত্য হলে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে কোনও অগ্রগতি অর্জিত হয়নি বলে বলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকর করার চেষ্টা করে যাচ্ছে মিশর এবং কাতার। তবে ইসরায়েল ও হামাস কেউই নিজেদের মূল দাবি থেকে সরে আসেনি। কার্যকর চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থতার জন্য উভয় পক্ষই বরং পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে।
ইসরায়েল বলছে, গাজায় এখনও ৫৯ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে এবং হামাসকে নিরস্ত্র করে ভবিষ্যতে গাজার শাসন থেকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া না হলে কোনও চুক্তি সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, হামাসের দাবি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার না হলে আর কোনও বন্দি বিনিময় চুক্তি হবে না।
চুক্তির বিষয়ে হামাসকে দোষারোপ করে নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, মিশরের প্রস্তাবিত চুক্তি তারা প্রত্যাখ্যান করেনি। হামাসই বরং চুক্তি সম্পাদনের পথে বাধা তৈরি করছে।
শুক্রবারও গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত ছিল। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই দিন অন্তত ২৫ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।