আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দীর্ঘ ১৩ বছর পর মিসরের মাটিতে পা রাখলেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আশকেনাজি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার কায়রো পৌঁছান ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সফরে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামে শৌকরির সঙ্গে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা পুনর্নির্মাণে সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বৈঠক করেন গাবি আশকেনাজি।
সম্প্রতি জেরুজালেমের একটি ঘটনা নিয়ে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াই শুরু হয়। ১১ দিন ধরে লড়াই চলার পর মিসর যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতার হাত বাড়িয়ে দেয়। তারপরই দুই পক্ষ হামলা বন্ধ করে।
মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে দুইপক্ষ সম্মত হলেও পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি। ১৩ বছর পরে ইসরায়েলের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিসরে যাওয়াকে কূটনৈতিক মহল ঐতিহাসিক সফর বলে ব্যাখ্যা করছে।
মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামে শৌকরি জানিয়েছেন, পশ্চিম জেরুজালেম, পবিত্র আল-আকসা মসজিদসহ ওই এলাকায় অবস্থিত সব ধর্মীয় স্থাপনার বিষয়টি মাথায় রেখে মিসর দুইপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে। সেখানে শান্তি ফেরাতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে কায়রো।
নেতানিয়াহু বেনেটের বিরুদ্ধে ‘জনগণকে ভুল পথে চালিত করা’ এবং ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় জালিয়াতি’ করার অভিযোগ এনেছেন।
এর আগে এক টেলিভিশন ভাষণে ৪৯ বছর বয়সী বেনেট ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, জোট গঠন করতে তাঁর দল আলোচনায় অংশ নেবে।
‘নেতানিয়াহু কোনো ডানপন্থি দল গঠন করার চেষ্টা করছেন না, কারণ তিনি ভালোভাবেই জানেন যে, তা সম্ভব নয়। তিনি পুরো জাতি, পুরো দেশ তাঁর নিজের ব্যক্তিগত অবস্থান পোক্ত করার জন্য পেতে চাইছেন’, বলেন বেনেট।
‘আমার বন্ধু ইয়াইর লাপিদের সঙ্গে একটি জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সরকার গঠনের জন্য সবকিছু করব’, যোগ করেন বেনেট।
এই ঘোষণার আগে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল, জোটের শর্ত অনুযায়ী, বেনেট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতানিয়াহুর জায়গা নেবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর ৫৭ বছর বয়সী লাপিদকে সে জায়গা ছেড়ে দেবেন। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোনো চুক্তি করা হয়নি।
প্রস্তাবিত জোট সরকারে ইসরায়েলি রাজনীতির ডান, বাম ও মধ্যপন্থি—সবারই সন্নিবেশ ঘটবে। এই দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক মতৈক্য না থাকলেও তারা নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়ে একমত।
