হোম আন্তর্জাতিক গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে, সংকুচিত হয়ে পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা

গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে, সংকুচিত হয়ে পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 10 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত মাসে হামাসের বিরুদ্ধে পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় নাটকীয়ভাবে তার অবস্থান প্রসারিত করেছে। এখন তারা গাজার ৫০% এরও বেশি ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। আর ফিলিস্তিনিরা ক্রমশ সংকুচিত হয়ে যাওয়া জমিতে পরিণত হচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনা এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা সবচেয়ে বড় সংলগ্ন এলাকা হল গাজা সীমান্তের আশেপাশে।

এখানে সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর, কৃষিজমি এবং অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে অঞ্চলটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই সামরিক বাফার জোনের আকার দ্বিগুণ হয়েছে।

কিন্তু মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং গাজা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েলের দখলে থাকা জমি তারা দীর্ঘমেয়াদি নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য ব্যবহার করতে পারে। এই জমির মধ্যে একটি করিডোর রয়েছে যা এই অঞ্চলের উত্তর থেকে দক্ষিণকে বিভক্ত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে হামাস পরাজিত হওয়ার পরেও, ইসরায়েল গাজার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে এবং ফিলিস্তিনিদের দেশত্যাগে বাধ্য করবে।

পাঁচজন ইসরায়েলি সেনা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, ১৮ মাস আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে ধ্বংস এবং বাফার জোনের পদ্ধতিগত সম্প্রসারণ চলছে।

নেতানিয়াহু আরও বলেছিলেন যে, ইসরায়েল দক্ষিণ গাজাজুড়ে আরেকটি করিডোর তৈরি করতে চায়, যা রাফা শহরকে বাকি অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

অতীতে লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি যে জমিতে বাস করতেন তা এখন ইসরায়েলের বাফার জোন। অথচ এই এলাকাটিই একসময় গাজার কৃষি উৎপাদনের মূল চাবিকাঠি ছিল।

স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একসময় ঘনবসতিপূর্ণ পাড়া এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেইসাথে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে সেখানে প্রায় এক ডজন নতুন ইসরায়েলি সেনা ফাঁড়ি তৈরি হয়েছে।

জানুয়ারিতে যখন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়, তখনও অনেকেই উত্তর গাজার বেইত হানুনে তার বাড়িতে ফিরে যান। আবারও ইসরায়েল হামলা শুরুর পর সেই সব সম্পত্তি-ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আর সেখানে ইসরায়েলি বাফার জোন তৈরি হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন