আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে হাসপাতাল আল-শিফা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বিরামহীন হামলার মধ্যে হাসপাতালটিতে আটকা পড়েছে চিকিৎসা নিতে আসা হাজার হাজার আহত রোগী।
জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতালের জেনারেটর ব্যবস্থা। ফলে অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে ৩৯টি নবজাতক, যারা এখনও ইনকিউবেটরে রয়েছে।
গাজার উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউসেফ আবু আলরিশের মতে, শুক্রবার (১০ নভেম্বর) আল-শিফা হাসপাতালসহ আরও কয়েকটি হাসপাতাল ঘিরে ফেলে ইসরাইলি বাহিনী। এরপর থেকে হাসপাতাল লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে তারা।
ইসরাইলি স্নাইপাররা হাসপাতালের চারদিকে অবস্থান নিয়েছে। আকাশ থেকে ড্রোন তাক করে আছে। হাসপাতাল থেকে কেউ বের হওয়ার চেষ্টা করলেই তাকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে সেনারা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকজন রোগী আল-শিফা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মরদেহ হাসপাতাল চত্বরে পড়ে আছে।
এক সাক্ষাৎকারে আলরিশ বলেছেন, ‘আমাদের ইনকিউবেটরে ৩৯টি নবজাতক শিশু রয়েছে। এই শিশুগুলো এখন মৃত্যুর সাথে লড়ছে। আমরা সম্পূর্ণ আটকা পড়েছি। বাইরের দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা ছাড়াই এখানে পড়ে আছি। আমরা মৃতদের দাফনও করতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা পুরো বিশ্বকে জানাচ্ছি, হাসপাতালের সব জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি না থাকায় জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে। আলরিশ বলেন, ‘কেউ হাসপাতালের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে পারছে না। ড্রোন ছাড়াও স্নাইপাররা সব জায়গায় মোতায়েন রয়েছে। তারা চলন্ত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে হত্যা করছে।’