হোম ময়মনসিংহজামালপুর গরিবের চাল ‘চুরি’, চেয়ারম্যানে অনাস্থা ১২ মেম্বারের

গরিবের চাল ‘চুরি’, চেয়ারম্যানে অনাস্থা ১২ মেম্বারের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 132 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

জামালপুরের বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন পরিষদের ১২ সদস্য। অনিয়ম, দুর্নীতি, দুস্থদের ভিজিডির চাল আত্মসাত, টিসিবির পণ্য আত্মসাত, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এ অনাস্থা প্রস্তাব আনেন তারা।

গত ২৩ জানুয়ারি পরিষদের ৯ জন সাধারণ সদস্য ও ৩ জন নারী ইউপি সদস্য রেজুলেশনের মাধ্যমে বর্তমান চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের নামে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন।

পরে অনাস্থা প্রস্তাবটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ২৫ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরবার আবেদন করেন ১২ ইউপি সদস্য। তারা চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের অপসারণের দাবি জানান।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অত্র পরিষদের ১২ জন ইউপি সদস্যকে পাশ কাটিয়ে তার একক সিদ্ধান্ত ও স্বেচ্ছাচারিতায় সীমাহীন দুর্নীতি করে আসছেন। চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ইউপি সদস্যদের সঙ্গে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনো আলোচনা না করে পরিষদের বাইরের লোক দিয়ে কাজ পরিচালনা করে আসছেন।

তিনি ২০২৩-২০২৪ সালের ভিজিডি কার্ডধারীদের নামের তালিকায় ১২ জন দুস্থ নারীর নাম অনুমোদন হলেও কার্ডধারীদের কার্ড না দিয়ে নিজেই চাল উত্তোলন করে প্রতি মাসের চাল আত্মসাত করে আসছেন। গরিব অসহায়দের জন্য টিসিবি কার্ডের পণ্য বিতরণ না করে তা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি তার লোক দিয়ে টিসিবির পণ্য উত্তোলন করে কালো বাজারে বিক্রি করে বলেও জানান ইউপি সদস্যরা। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের নামে অর্থ আত্মসাত করারও অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে।

মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য গর্ভবতী নারীদের তালিকা করতেও ১০ হাজার টাকা করেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরিষদের ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ করেন ইউপি সদস্যরা।

ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছামিউল হক জানান, চেয়ারম্যান স্বৈরাচারের ভূমিকায় রয়েছেন। কোনো সদস্যকে তিনি মূল্যায়ন করেন না। তার দুর্নীতির কারণে এই পরিষদের সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। তিনি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ তদন্ত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।

এবিষয়ে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। আমি তাদের অনৈতিক সুবিধা না দেওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অহনা জিন্নাত বলেন, ‘ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন