শিক্ষা ডেস্ক:
প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালনা এবং নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বৃদ্ধির দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ইনোভেশন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ইউজিসিতে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মকৌশল ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন শোকেসিং বিষয়ক কর্মশালায় একথা বলেন তিনি।
মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দেশে শতবর্ষ আগে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আবার ৫০ বছর বয়স অতিক্রম করেছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে। বিগত বছরগুলোতে অনেকগুলো নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সব খরচ সরকার বহন করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, একই সময়ে প্রতিষ্ঠিত উন্নত দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিলিয়ন ডলারের সম্পদ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়কেও নিজস্ব দক্ষতায় এখন থেকেই সম্পদ অর্জনের দিকে নজর দিতে হবে। স্টার্ট অ্যাপ, উদ্ভাবনী শিক্ষার ইকোসিস্টেম ও গবেষণার মাধ্যমে সম্পদ তৈরি করতে হবে।
অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ হতে মাথাপিছু আয় দ্বিগুণের বেশি হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্যোগী হতে হবে। গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্মার্ট সিটিজেন ও শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ক্যারিয়ার তৈরির দিকে নজর দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যায়কে দেশের মানুষের কল্যাণে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গবেষণা পরিচালনায় এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি’র গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম, কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মতিন প্রমুখ।