জাতীয় ডেস্ক :
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় গণধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মো. সজল মোল্লা (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৫ মে) ভোরে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বানারজোড় গ্রাম থেকে সজলকে গ্রেফতার করে নাজিরপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সজল মোল্লা গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার বানারজোড় গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে।
এর আগে শনিবার (১৪ মে) সকালে ওই গৃহবধূর মরদেহ উপজেলার দেউলবাড়ি দোবরা ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের সময় ভুক্তভোগীর মরদেহ স্বামী সুনিল মণ্ডলের বাড়ির পেছনের একটি আম গাছে ঝুলছিল।
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত সজল মোল্লাসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ২ জনকে অজ্ঞাত করে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
থানায় দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী বিভিন্ন সময় কেনা-কাটার জন্য গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় যাতায়াত করতেন। এ সময় জিসান তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতো। জিসান উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের ততুবাড়ি গ্রামের আ. জলিলের ছেলে।
শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলে ভুক্তভোগী কোটালিপাড়া গেলে জিসান তাকে ফের কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে যান জিসান। সেখানে সজলসহ পাঁচজন তাকে গণধর্ষণ করে কোটালিপাড়ার লিংক রোড এলাকায় ফেলে রেখে যায়। এতে ক্ষোভে ও লোক লজ্জায় ভুক্তভোগী আত্মহত্যা করেন।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় তার স্বামীর করা মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।