হোম অন্যান্যসারাদেশ খুলনায় স্কুল ছাত্র বাপ্পি হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড, ৫জনের যাবজ্জীবন

খুলনায় স্কুল ছাত্র বাপ্পি হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড, ৫জনের যাবজ্জীবন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 156 ভিউজ

খুলনা অফিস:

খুলনার খালিশপুরস্থ প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল স্কুলের আলোচিত ছাত্র মফিজুল ইসলাম বাপ্পি (১৬) হত্যা মামলার রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড এবং আরো ৫জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় দু’জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।বুধবার দুপুর পৌনে ১২টায় খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ১০ বছর পর এ রায় ঘোষণা করা হলো। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রকিকে একই সঙ্গে আরো ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সে খালিশপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের পুত্র।

এছাড়া একই এলাকার আবু সাঈদের পুত্র আল-আমিন, আব্দুল মান্নানের পুত্র মো: নজরুল,মোমরেজের পুত্র রবিউল, নিছার ওরফে আনছার আলীর পুত্র মিলন ও আজিজুর রহমান হাওলাদারের পুত্র মুজিবর হাওলাদারকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রবিউল, মিলন ও মুজিবর হাওলাদার পলাতক রয়েছে। মামলায় খালাসপ্রাপ্ত দু’জন হলেন হাসান ও ইব্রাহিম।

আদালতের সূত্র জানান, ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে খালিশপুরের প্লাটিনাম জুট মিলের স্কুল মাঠে বাপ্পি ও তার বন্ধু রাজু একসাথে বসে গল্প করছিলো। ওই সময় পূর্বশত্রæতার জের ধরে হকিস্টিক ও লোহার রড নিয়ে বন্ধু রাজুকে মারতে আসে দুর্বৃত্তরা। তখন বাপ্পি ঠেকাতে গেলে দুর্বত্তরা হকিস্টিক দিয়ে বাপ্পির মাথায় আঘাত করে। বাপ্পি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এই সুযোগে বন্ধু রাজু পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: মো: ইসমাইল শেখ ও ডা: সহদেব কুমার দাসের কাছে মৃত্যুকালীণ জবানবন্দী দেয় বাপ্পি। ওই দিন রাত ১১টা ৫ মিনিটে বাপ্পি মারা যায়।

এঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ৩১ মার্চ পুলিশ ৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। ২০১৪ সালের ২ জানুয়ারী মামলার চার্জ গঠন করা হয়।
আদালতের এপিপি অ্যাড. কাজী সাব্বির আহম্মেদ জানান, এ হত্যা মামলায় ১৮ জন সাক্ষির মধ্যে ১৬ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামী রকি ও নজরুল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।রাষ্ট্রপক্ষে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে তাকে সহযোগীতায় ছিলেন, এপিপি অ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ ও এপিপি অ্যাড. রেহানা পারভিন। আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাড. নিরঞ্জন কুমার ঘোষ। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি দ্রæত রায় কার্যকরের প্রত্যাশা করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন