অনলাইন ডেস্ক :
খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক খুলনাঞ্চল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এমএ জলিলকে মাদক মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. সাইফুজ্জামান হিরো ওই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে নিরপরাধ ব্যক্তিকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানোর অপরাধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
যাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর-খুলনার গোয়েন্দা পরিদর্শক পারভীন আক্তার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একই অধিদপ্তরের ‘ক’ সার্কেলের পরিদর্শক হাওলাদার মো. সিরাজুল ইসলাম।
খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মো. ছায়েদুল হক শাহিন জানান, বুধবার ছিল ওই মামলার চার্জ গঠনের জন্য নির্ধারিত দিন। মামলার আসামিপক্ষ ফৌজদারি কার্যবিধির ২৬৫-সি ধারা মতে মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারক ওই আদেশ দেন।
মামলার এজাহারকারী পারভীন আক্তার ও তদন্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আসামি এমএ জলিলকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের জন্য দেওয়ানি আদালতে এবং মানহানিজনিত কারণে ফৌজদারি আদালতে মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে আদালতের আদেশের অনুলিপি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও খুলনার অতিরিক্ত পরিচালককে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ জুলাই সকালে খুলনা নগরীর সদর থানার মুসলমানপাড়া এলাকার সাংবাদিক এমএ জলিলের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় তার বাড়ির পাশের একটি নালা থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় একই দিন খুলনা সদর থানায় মামলা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা পরিদর্শক পারভীন আক্তার। এর পর তদন্ত কর্মকর্তা একই অধিদপ্তরের ‘ক’ সার্কেলের পরিদর্শক হাওলাদার মো. সিরাজুল ইসলাম ২৮ আগস্ট চার্জশিট দাখিল করেন।