খুলনা অফিস :
খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের ল্যাব থেকে মদ ভেবে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য পান করে ২ জন রং মিস্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের পৃথক দুটি সময় তাদের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন- নগরীর দৌলতপুরের পাবলা করিগর পাড়ার আবু তালেবের ছেলে পারভেজ বিশ্বাস (২৯) ও একই এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে রফিকুল বিশ্বাস (৪০)।এ ঘটনায় একই এলাকার মোমরেজ বিশ্বাসের ছেলে শামীম (৩২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরা সবাই বয়রাস্থ খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের ল্যাব রুমে বৃহস্পতিবার রং মিস্ত্রীর কাজ করেছিলেন।
দৌলতপুরের কারিগর পাড়ার ব্যবসায়ী জাফরি বিশ্বাস বলেন, আমার বাসার পাশের তিন শ্রমিক খুলনা মহিলা কলেজের ল্যাব ভবনে রংয়ের কাজ করেছে। তাদের স্বজনদের কাছ থেকে শুনেছি কাজ করার সময় ল্যাব রুমের একটি বোতলে এলকোহল ভেবে চুরি করে বাসায় নিয়ে আসে। পরে রাতে শামীম, পারভেজ বিশ্বাস ও রফিকুল বিশ্বাস সেটা পান করে। পারভেজ বিশ্বাস বৃহস্পতিবার রাত ৪টার দিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় এবং রফিকুল বিশ্বাস রাত ১টায় বাসায় মারা যায়। সকাল ১১টায় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ নিয়ে গেছে। শামীমের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুরের পাবলা কারিগরপাড়ার পারভেজের (২৯) বাড়ির পুকুরের সামনে বসে বন্ধু রফিক বিশ্বাস (৪০) ও শামীম (৩২) মিলে মদ ভেবে রাসায়নিক দ্রব্য পান করে। পরে তিনজনের শরীর খারাপ হলে আত্মীয়-স্বজন পারভেজকে (২৯) রাতে এবং শামীমকে ভোরে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর মধ্যে পারভেজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রফিক বিশ্বাসও বাসায় মারা যান। শামীম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোস্তাক আহমেদ বলেন, বয়রা কলেজ থেকে এলকোহল ভেবে রাসায়নিক দ্রব্য বাসায় নিয়ে পান করে রং মিস্ত্রী তিন জন। এর মধ্যে ২জন মারা গেছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় থানায় লিখিত কোন অভিযোগ করা হয়নি।
খুলনা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ টি.এম জাকির হোসেন বলেন, আমাদের সাইন্স ভবনের কাজ পেয়েছেন দৌলতপুরের এক ঠিকাদার। ভবনের সংস্কার হয়ে গেছে। ওরা সাইন্স ল্যাবে রং করছিলো বৃহস্পতিবার। ওখানে কিছু খালি বোতল ছিলো। যার মধ্যে কিছু থাকতে পারে। ওখান থেকে নিয়ে যেতে পারে।