হোম অন্যান্যসারাদেশ খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের বিভাগীয় শ্রম ও পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও

খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের বিভাগীয় শ্রম ও পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও

কর্তৃক
০ মন্তব্য 114 ভিউজ

খুলনা অফিস :

বন্ধ মহসেন জুট মিলের শ্রমিকরা খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করেছে। চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের দাবিতে গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীর বয়রাস্থ শ্রম পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করেন শ্রমিকরা। গত শুক্রবার বিকেলে এক শ্রমিক জনসভার মধ্য থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঘেরাও কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মিল মালিক খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অমান্য করে শ্রমিকদের মজুরি পাওনা পরিশোধের ব্যাপারে অদ্যবধি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। মিল বন্ধ হওয়ার পর থেকে মিল মালিকের কাছে পাওনা থাকা সত্তে¡ও ৬৫ জন শ্রমিক বিনা-চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

আরও কিছু শ্রমিক আছেন, যারা অসুস্থ এবং অসহায় অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করছেন। তাই এবার মালিকের কাছ থেকে পাওনা আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। মহসেন জুট মিলের সাবেক সিবিএসহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইনজিল কাজী বলেন, অতি দ্রæত খুলনা জেলা প্রশাসক ও শ্রম পরিচালকের সিদ্ধান্ত মিল মালিককে কার্যকর করতে হবে।তিনি বলেন,মিলের সিবিএ নেতারা শ্রমিকের পাওনা পরিশোধে ভূমিকা না নিয়ে মিল মালিকের সঙ্গে আঁতাত করে শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।তাই মালিকের অনুগত সিবিএ সভাপতি সুলতান মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ সহঃ সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। .শ্রমিক পরিবারের সন্তান সাইফুল্যাহ তারেকের পরিচালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতারা।

শ্রমিকরা জানায়, মিলের ৩৪৭ জন শ্রমিক ও ৫০ জন কর্মচারীর মোট পাওনা ১০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে মিলটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়।
এর আগে ২০১৩ সালের ১৯ জুলাই এক দাপ্তরিক আদেশের মাধ্যমে মিলটি লে-অফ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুযায়ী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীকে ক্ষতিপূরণ, লে-অফ বেনিফিট, গ্র্যাচুইটির পাওনাদি পরিশোধের কথা থাকলেও সাত বছরেও তা করা হয়নি। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শ্রমিকরা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন