হোম খেলাধুলা খুলনার বাতি নিভিয়ে প্লে-অফে বরিশাল

খুলনার বাতি নিভিয়ে প্লে-অফে বরিশাল

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 76 ভিউজ

স্পোর্টস ডেস্ক:

রংপুর রাইডার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আগেই বিপিএলের প্লে-অফের টিকিট কেটেছে। অন্য স্থানটির জন্য লড়াইটা ছিল ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্সের মধ্যে। খুলনার আশার বাতি নিভিয়ে প্লে-অফের টিকিট কেটে ফেলেছে বরিশাল। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তারা। এক ম্যাচ হাতে রেখেও প্লে-অফের দৌড় থেকে বাদ পড়েছে খুলনা।

রান তাড়া করতে নেমে ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। এ সময় ৭ বলে ১ রান করে বিদায় নেন দলপির পাকিস্তানি ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। এরপর তামিম ইকবাল ও কাইল মেয়ার্সের ব্যাটে ৬৫ রানের জুটি গড়ে বরিশাল। মুশফিক হাসানের ওভারে তাকেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মেয়ার্স। ক্যারিবীয় ব্যাটার ২৫ বলে করেন ২৫ রান।

২ উইকেট চলে গেলেও শুরু থেকেই হাল ধরে রেখেছিলেন তামিম ইকবাল। মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে হাফসেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন তিনি। ৪০ বলে অর্ধশত রান হয় তার। মুশি বিদায় নেন মুশফিক হাসানের বলে। ২৪ বলে ১৭ রান করেন টাইগার উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তামিম আউট হন ৪৮ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছয়ের মার।

এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে ২ বল বাকি রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বরিশাল। ১১ বলে রিয়াদ ১২ ও ৩ বলে সৌম্য ৬ রান করেন।

এর আগে জাকের আলীর বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে ১৪০ রান করে কুমিল্লা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই তোপের মুখে পড়ে তারা। বরিশালের কিপটে ও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪০ রানের মাথায়ই তারা হারিয়ে ফেরে ৩ উইকেট। দলীয় ২৪ রানে সুনিল নারিনের পর ৩৮ রানে লিটন কুমার দাস ও ৪০ রানে বিদায় নেন মাহিদুল ইসলাম। নারিনের উইকেট নেন ওবেদ ম্যাককয়, লিটন ও মাহিদুল আউট হন তাইজুল ইসলামের বলে। নারিন ১৬, লিটন ১২ ও মাহিদুল করেন ১ রান।

এরপর মঈন আলি ও তাওহীদ হৃদয় মিলে ৩৬ রানের জুটি গড়ে তুলেন। হৃদয় ২৬ বলে ২৫ রানে বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি। হৃদয়কে আকিফ জাভেদের ক্যাচে পরিণত করেন ম্যাককয়। ২২ বলে ২৪ রান করে মঈন শিকার হন আকিফ জাভেদের। এরপর আন্দ্রে রাসেল খেলেন ১১ বলে ১৪ রানের ইনিংস। তাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তাইজুল।

ম্যাথু ফোর্ডে গোল্ডেন ডাকে ফিরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ওভারে। তাতে একশর আশেপাশে থেমে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয় কুমিল্লার। কিন্তু জাকের আলী একাই লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন দলকে। মিরপুরের স্পিনবান্ধব উইকেটে বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করেন তিনি। জাকের ব্যাট করেছেন ২৩৭.৫০ স্ট্রাইকরেটে, যেখানে তার সতীর্থদের মধ্যে সবোর্চ্চ স্ট্রাইকরেট আন্দ্রে রাসেলের (১২৭.২৭)।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন