খুলনা অফিস :
খুলনার বহুলালোচিত মাদক ব্যবসায়ী খোকন শেখ ওরফে গাঁজা খোকন ওরফে কানা খোকনকে (৪৮) আবারও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দিনগত রাতে নগরীর দক্ষিণ টুটপাড়া বড়খাল পাড় এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আটককৃত খোকন শেখ নগরীর লবণচরা স্লুইজগেটস্থ ইব্রাহিম মাদরাসা মসজিদ গলির নজরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত বাবর আলী শেখের পুত্র। তার বিরুদ্ধে খুলনা ও লবণচরা থানায় ৭টি মাদক মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, দক্ষিণ টুটপাড়া বড়খাল পাড়স্থ বায়তুল আমান মহল্লা দ্বিতীয় গলির দক্ষিণ মাথায় সাইফুল ড্রাইভারের বাড়ির সামনে খোকন গাঁজা বিক্রি করছে- এ ধরণের গোপন খবরের ভিত্তিতে বুধবার দিনগত রাত পৌনে ১১টার দিকে টুটপাড়া পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় তারা খোকনকে গাঁজাসহ হাতে-নাতে আটক করে। তার কাছ থেকে ১শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এস.আই আলতাফ হোসেন বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এস.আই আলতাফ হোসেন বলেন, খোকন দীর্ঘ দিন ধরে আত্মগোপনে ছিল। সম্প্রতি সে প্রকাশ্যে এসে টুটপাড়া বড় খালপাড় ও লবণচরা এলাকায় আবারও মাদক ব্যবসা শুরু করে বলে তথ্য ছিল। এ তথ্যের ভিত্তিতে কঠোর নজরদারির পর তাকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় ৪টি, লবণচরা থানায় ১টি ও রূপসা থানায় ১টি মাদক মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত গাঁজা খোকনের ছেলে, মেয়ে এবং জামাইয়ের বিরুদ্ধেও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তার ছেলে সিনবাদ শেখ (২০)’র বিরুদ্ধে খুলনা ও লবণচরা থানায় ২টি, মেয়ে খুশি আক্তার (২৩)’র বিরুদ্ধে ৪টি এবং জামাই বাবু শেখ ওরফে ব্লেড বাবু ওরফে সুমন (২৭)’র বিরুদ্ধেও ৪টি মাদক মামলা রয়েছে।
এই সূত্রমতে, কয়েক বছর আগে এ পরিবারটি নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজার এবং ছোট খালপাড় এলাকার অবস্থান করে গাঁজা বিক্রি করতো। কিন্তু পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধাওয়ায় লবণচরা এলাকায় চলে যায়। কিন্তু স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির শেল্টারে প্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত অবধি মহিরবাড়ি বড় খালপাড় ও লবণচরা এলাকায় খোকন ও তার ছেলে সিনবাদ গাঁজার ব্যবসা করছিল। এখন খোকন গ্রেফতার হলেও তার ছেলে সিনবাদ ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। প্রতিদিন সে তার বাহিনী নিয়ে খালপাড় এলাকায় মহড়া দেয় বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। তবে, ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেন না। এ বিষয়ে তারা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল আলম জানান, গাঁজা ব্যবসায়ী খোকনের ফুল পরিবারই ক্রপটেড এবং চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। খোকনের পরিবারের অন্য সদস্যরাও মাদক বিক্রির সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তবে, এদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট