রাজনীতি ডেস্ক:
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার বিষয়ে সরকারের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (২৪) তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খালেদা জিয়া সনিজ খরচে বিদেশি চিকিৎসক আনছেন। আমাদের এ বিষয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়। তবে আমরা এতে অনাপত্তি দেয়নি।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য আমেরিকার জনহপকিংস হাসপাতাল থেকে রাতে ঢাকায় আসছেন তিন চিকিৎসক।
এছাড়া শারীরিক অবস্থার তারতম্যের কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) যাওয়া-আসার মধ্যে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আরও এক দফা সিসিইউতে নেয়া হয় বলে জানান চিকিৎসক।
তবে মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে জানা যায়, অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে ফের কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বেগম জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগেও কয়েকবার তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়।
গত ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সম্প্রতি তার চিকিৎসকরা প্রেস কনফারেন্সে জানান, তার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রয়োজন। লিভারের অবস্থা ভালো না থাকায় তার শরীরে ওষুধ কাজ করছে না বলে জানান চিকিৎসকরা। তবে তার এখন যে চিকিৎসা দরকার তা দেশে সম্ভব নয় বলেও দাবি করেছেন চিকিৎসকরা।
৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভার সিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।