হোম অন্যান্যশিক্ষা খালি হাতে ফিরেছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী

খালি হাতে ফিরেছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 17 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বই এবং মাধ্যমিকের সপ্তম শ্রেণির তিনটি—বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই পেয়েছে রাজধানীর বিদ্যালয়গুলো। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দু-একটি ক্লাসের কিছু বই দেওয়া হলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বই পায়নি। কবে নাগাদ শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই পাবে তারও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বই না পেয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী খালি হাতে বাড়ি ফিরেছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) বছরের প্রথম দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে যেসব বই পৌঁছেছে, সেগুলোই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা জানান, অন্যান্য বছর বই কম থাকলেও কোনও শিক্ষার্থী একটিও বই পায়নি, এমনটি হয়নি।

এদিকে, বছরের প্রথম দিন সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘বই ছাপানোর কাজে পদে পদে ষড়যন্ত্র ছিল, যা অতিক্রম করা হয়েছে। আজও কোনও কোনও জেলায় ষড়যন্ত্র করে বই আটকে রাখা হয়েছিল। বই ছাপানোর কাজে অনেক প্রেসের মালিক, কাগজ উৎপাদনকারী সংস্থা কম মূল্যে কাগজ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। এখনই সব বই ছাত্রছাত্রীদের হাতে পৌঁছাতে না পেরে আমি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এবং তাদের অভিভাবকদের প্রতি অন্তরের অন্তস্তল থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি। সান্ত্বনা এতটুকুই, বইগুলো আগের চেয়ে সুন্দর হবে এবং বছরের মাঝখানে মলাট ছিঁড়ে যাবে না।’

বুধবার (১ জানুয়ারি) সরেজমিন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বিষয়ের বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি বইও দেওয়া সম্ভব হয়নি।

মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন শিক্ষা অফিস পরিদর্শন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, চলতি দায়িত্ব) মো. ইমামুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বই পাওয়া গেছে। অন্য শ্রেণির বই যখন পাওয়া যাবে, তখন দেওয়া হবে।’

মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুননাহার লিপি বলেন, ‘চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই পাইনি। যেগুলো পেয়েছি সেগুলো শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং মাধ্যমিক স্তরের (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম) শুধু সপ্তম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই পাওয়া গেছে, সেগুলো দেওয়া হয়েছে।’

মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা পারভীন জানান, প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বই শিক্ষার্থীদের বিতরণ করা হয়ে গেছে। তবে অন্যান্য ক্লাসের বই পাননি।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ফতেপুর বাউসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা মো. ফারুক হোসেন জানান, চতুর্থ শ্রেণির বাংলা, গণিত ও ইংরেজি এবং পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও ইংরেজি পেয়েছেন, অন্যান্য বই পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন