বাণিজ্য ডেস্ক :
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা খাদ্য গুদামে ক্রয় করা চালের সঙ্গে নিম্নমানের চাল মিশিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২০ জুন) সকালে নিম্নমানের চাল মেশানোর বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে ধরা পড়ে।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, জীবননগর উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা কাওসার হোসেন ও অফিস সহকারী রাকিব হোসেনের যোগদানের পর থেকে নাইটগার্ড মাসুদ আলম এবং ফুড গোডাউন শ্রমিক সর্দার রমজান আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তারা তালিকাভুক্ত মিলারদের কাছ থেকে নিম্নমানের চাল ক্রয় করে তা ভোক্তাদের মধ্যে সরবরাহ করে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মিলারের অভিযোগ, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাকে প্রতি কেজি ভালো চালের অনুকূলে এক টাকা এবং নিম্নমানের খাওয়ার অনুপযোগী চালের অনুকূলে ৬ থেকে ৭ টাকা হারে উৎকোচ দিতে হয়। এসব নিম্নমানের চাল খাদ্য গুদাম থেকে সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরবরাহ করা হয়।
গুদাম শ্রমিক রমজানের নেতৃত্বে অন্য কর্মরত শ্রমিকরা নিম্নমানের চাল কিনে তা ভালো চালের সঙ্গে মিশিয়ে দেন। তারা দীর্ঘ এক বছর যাবত এক কাজটি করছেন। সোমবার সকালে বিষয়টি স্থানীয়দের চোখে পড়লে, বিষয়টি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা কাওসার হোসেনকে জানানো হয়। এসময় তিনি ভিজিডির চাল তৈরি হচ্ছে বলে জানান। এতে উপজেলা খাদ্য গুদামের তালিকাভুক্ত মিলাররা প্রতিবাদ করলে কাওসার হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা সেই মিলারদের কাছ থেকে চাল ক্রয় নিয়ে নানা হয়রানি করতে থাকেন।
এবিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করে জানান, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময়, ঈদের বিশেষ ভিজিএফ, ভিজিডি, ওএমএস, টিআর, জিআরসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অসহায়, হতদরিদ্র কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সরকারিভাবে উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে চাল সরবরাহ করা হয়। যা অত্যন্ত নিম্নমানের ও খাওয়ার অনুপযোগী। সেই সঙ্গে ওজনেও কম দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাকে অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয় না বলে জানান তারা।
এদিকে চালে ভেজাল মিশানোর অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা কাওসার হোসেন বলেন, ভালো চালে সঙ্গে নিম্নমানের চাল মিশানোর অভিযোগ সত্য নয়। ভিজিডির চাল সরবরাহের জন্য চাল গড় করে রিপ্যাক করা হচ্ছিল।
নিম্নমানের চাল ক্রয়ের বিষয়টি না জানার কথা উল্লেখ করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শহিদুল হক বলেন, তবে ভিজিডির চাল সরবরাহের জন্য যদি ৩০ কেজির প্যাকেট না থাকে, তাহলে রিপ্যাক করা যাবে।
এসময় তিনি অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।