স্পোর্টস ডেস্ক:
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭২ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে একপ্রকার খাদের কিনারায় বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় দলের হাল ধরেছেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে। দুজনে মিলে গড়েছেন ৪৬ রানের জুটি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান নিয়ে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ২৭ রান নিয়ে মুশফিক ও ১৮ রান নিয়ে মিরাজ ক্রিজে রয়েছেন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার (৮ জুলাই) লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আউট হন টাইগার অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। ব্যক্তিগত ১৩ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ফজলহক ফারুকীর শর্ট লেন্থের বলটি ঠিকঠাক খেলতে পারেননি উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মাথার ওপর বল ভাসিয়ে দেন তিনি, ৩০ গজের ভেতরেই ক্যাচ ধরেন মোহাম্মদ নবি। বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ১৫। লিটন ১৩ রানের মধ্যে চারই মেরেছিলেন ৩টি।
লিটন ফিরে যাওয়ার পর যথারীতি ওয়ানডাউনে খেলতে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসার প্রতীক তিনি। কিন্তু এদিন আর দলের ভরসা হয়ে উঠতে পারেননি এ ব্যাটার। লিটন ফিরে যাওয়ার পরের ওভারেই মুজিবের বলে বোল্ড হন তিনি। ৫ বলে শান্ত করেন এক রান।
নাঈম শেখ দ্বিতীয় ওয়ানডের একাদশে ঢুকেছেন মূলত তামিম ইকবালের অবসরকাণ্ডের সুবাদে। কিন্তু সুযোগ পেয়ে মোটেই প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। ইনিংসের প্রথম ওভারে কোনো রান তুলতে না পারা নাঈম, ফারুকীর বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন। ২১ বলে তিনি করেন ৯ রান।
মাত্র ২৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ ধীরে ধীরে সামাল দিতে থাকেন সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয় মিলে। সাকিব ওয়ানডে মেজাজে খেললেও ধীরগতিতে খেলে তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন হৃদয়। কিন্তু দলীয় ৬৫ রানের সময় রশিদ খানের গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড হন তিনি। ৩৪ বলে হৃদয় করেন ১৬ রান। হৃদয় আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পর তার পথ ধরেন সাকিব। নবির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে উইকেট হারান তিনি। আফিফ ক্রিজে এসে এক বলের বেশি খেলতেই পারেননি। রশিদ খানের কাছে ধরাশায়ী হন তিনি। আফিফ ক্যাচ দেন স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা নবিকে।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। এ রান তাড়া করে জিততে হলে টাইগারদের গড়তে হবে ইতিহাস। এর আগে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩২২ রান তাড়া করে ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছিল।