হোম জাতীয় খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় রাত ৯টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি

খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় রাত ৯টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 6 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘাতের জেরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবার খাগড়াছড়ি পৌরসভায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, যেকোনো ধরনের সহিংসতা রোধে এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকবেলায় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ সালের ১৪৪ ধারা মতে নিষেধেজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এদিকে, দীঘিনালায় সংঘর্ষের ঘটনায় আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান পাট ও ঘটনাস্থল আজ দুপুরে পরিদর্শন করেছে প্রশাসন। এ সময় খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে ক্ষতিপূরণ নির্ণয় করা হবে। ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এর আগে রাঙ্গামাটি জেলার পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন খান স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাঙ্গামাটি জেলার পৌরসভা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে এবং জনগণের জানমাল ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা রয়েছে। তাই আজ শুক্রবার দুপুর ১টা হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পৌরসভা এলাকায় ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ মোতাবেক ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতভর জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। রাতে গোলাগুলি ও বিকেলের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আর আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।

আজ সকালে এ ঘটনার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ করেছে পাহাড়ি ছাত্র-জনতা। এতে পাহাড়ি-বাঙালি সংর্ঘষে রূপ নেয়। বিক্ষোভ করার সময় দোকান, মসজিদ ও গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে।

পরে কনরুপা এলাকার ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেয়। এতে সংর্ঘষ বাধে। এ সময় শহরের বিভিন্নস্থানে দুই পক্ষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া যায়। এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়।

উল্লেখ্য, গত বুধবার খাগড়াছড়ি সদরের পানখাইয়াপাড়ায় চুরির অভিযোগে মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার বিচারের দাবিতে গতকাল দীঘিনালায় বিক্ষোভ চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা ৮০টির মতো দোকান ও বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর জেরে জেলার বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন