খেলাধূলা ডেস্ক:
২০১২ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পান নাজমুল হাসান পাপন। এরপর দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। তবে কিছুদিনের মধ্যেই এই দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চাচ্ছেন পাপন।
তেমন কোনো ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা না থাকলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। বিভিন্ন কঠিন সময়ে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে বোর্ড সবকিছুই শক্ত হাতে সামলেছেন তিনি। তার সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল উন্নতিও করেছে বেশ। বৈশ্বিক আসরে ট্রফি জয় থেকে শুরু করে আফ্রিকা-আমেরিকায় সিরিজ হয়, সবকিছুই সম্ভব হয়েছে তার দায়িত্বের সময়ে।
ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি জাতীয় সংসদের সদস্যও পাপন। এছাড়া অনেক বছর ধরে যুক্ত আছেন ওষুধ শিল্পের সঙ্গে। ক্রিকেটে বেশি সময় দেয়ার কারণে এসব কাজে তেমন একটা নিজেকে যুক্ত রাখতে পারছেন না। সে কারণে এই দায়িত্ব ছাড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন বিসিবির এই সভাপতি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ৫৪৬ রানের রেকর্ড ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। এই জয়ের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন পাপন। সেখানে ক্রিকেটের বিভিন্ন বিষয়ে আলাপের পাশাপাশি ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘আমি সারাজীবন ওষুধ শিল্পের দিকে মনোযোগ দিয়ে আসছি। এরপর রাজনীতি। এটা আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য। এছাড়াও আমি অন্তত আরও ২০ টা জিনিসের সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু ক্রিকেট আমার সব সময় নিয়ে নিচ্ছে। এ কারণেই এখন এই জায়গা থেকে আমার সরে যাওয়া দরকার।’
তবে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরও অনেক কিছু দিয়ে যেতে চান বোর্ড সভাপতি। ক্রিকেট বোর্ডের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি মাঠের সমস্যা সমাধান করে যেতে চান তিনি। এছাড়া জাতীয় দলের পাইপলাইনকে আরও সমৃদ্ধ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন পাপন।