হোম অন্যান্যসারাদেশ ক্যাস্নার আক্রান্ত সেজুতিকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়ালেন  ব্যাবসায়ী রুপায়ন 
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শৈশব না পেরুতেই   আক্রান্ত হয় সেজুতি,  মরনব্যাধী   ক্যাস্নারে।  ধীরে ধীরে  ধাবিত  করেছে তাকে  মৃত্যুর দিকে।  অভাব অনাটন যে পরিবারের নিত্যসঙ্গী পিতা এ  চিকিৎসার ভার বহন করবে কি ভাবে?   চিকিৎসা ব্যায়ে  ইতিমধ্যে  হারিয়েছে    শেষ সম্বল।  সন্তানকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন বিপুল অর্থের। বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে  হয়তবা বেঁচে যেত কোমল মতি  শিশু সেজুতির প্রান।তাই আজ  অসহায়  পিতা  নিরুপায় হয়ে  পেতেছেন   বিত্তবানদের সহযোগিতার কাছে  হাত ।
নিয়তি আজ বড়ই অসহায়, পৃথিবীর সহ চেয়ে ভারি বোঝা হল,  পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ।  এতক্ষনে বলছিলাম তালা উপজেলার বারাত গ্রামের সদয় দাশের মেয়ে সেজুতি দাশ প্রভার(৭) কথা। প্রায় ২বছর আগে সেজুতির শরীরে ধরা পড়ে মরনব্যাধী ব্লাড ক্যাস্নার। ডাক্তারে ভাস্যঅনুযায়ী  সেজুতির পিতা সদয় দাশ  জানায়, মেয়েকে  বাঁচাতে হলে দরকার ১০-১৫ লক্ষটাকা। আমার  শেষ  সম্বলটুকু ভিটামাটি বিক্রি করে ও দিনরাত পরিশ্রম করে চিকিৎসা করাতে গিয়ে  সর্বশান্ত হয়ে বসে আছি। এখন লোকের সাহায্য ছাড়া মেয়েকে  চিকিৎসা করার কোন উপায় নেই আমার কাছে ।
অসহায় পিতার এই আকুতি শুনে এগিয়ে আসেন পাটকেলঘাটা বাজারের  রীনা টেলিকমের সত্তাধিকারী রুপায়ন হাজারা।শুক্রবার(৫ফেব্রয়ারি)  বিকালে শিশুটির বাড়ি হাজির হয়ে বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে   তুলে দেন নগদ অর্থ। রুপায়ন হাজারা বলেন, মানুষ  তো  মানুষের জন্য,  সমাজের প্রতিটা মানুষের উচিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান । হয়তবা আমার আপনার সকলের সামান্য  সহযোগিতায় বেঁচে যাবে কোমলমতি শিশুটির প্রান।
তিনি আরও বলেন,  একজন ব্যাবসায়ী হিসাবে যতটুকু পেরেছি ততটুকু শিশুটির পাশে দাঁড়িয়েছি।এভাবে যদি সমাজের প্রতিটি বিত্ততবানরা দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাহলে এক পিতা ফিরে পাবে তার সন্তানের প্রান আর শিশুটি ফিরে যাবে সুন্দর একটি জীবন ।এ সময়  সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা ব্লাড ফাউন্ডেশানের এডমিন মনিরুজ্জামান মিঠু, দলিল লেখন মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, ব্যাবসায়ী অমিত কুমার প্রমূথ।
s

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন