জাতীয় ডেস্ক:
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল রেখে হাইকোর্টের রায় বাতিলের আপিল শুনানিতে অংশ নিতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন দুই শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক এ আবেদন করেন।
আপিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদনটি শুনানির জন্য বিশেষ চেম্বার আদালত আজ পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছে। যা কাল বুধবার শুনানি হতে পারে।
কোটার বিষয়ে আপিল বিভাগে পক্ষভুক্ত হতে আবেদনকারী দুই শিক্ষার্থী হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে জারি করা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র বাতিল করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। ফলে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে ৯ জুন আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
তবে, হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে তা শুনানির জন্য পুর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয় আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে আবেদনটি শুনানির কথা থাকলেও পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর নিয়মিত আপিল করতে বলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
আজ মঙ্গলবার বিশেষ চেম্বার আদালতের বিচারক আশফাক- উল-ইসলামের দেয়া আদেশে বলা হয়, সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ ঘোষণা করে’ হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে শুনানি হবে কাল।
রিটকারীদের পক্ষ থেকে চেম্বারে আবেদনের প্রেক্ষিতে দিনটি ধার্য করা হয়। যদিও নিয়ম অনুযায়ী, দুইটি আপিল শুনানিই বৃহস্পতিবার কার্য তালিকায় আসার কথা ছিল।