স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর (যশোর) :
যশোরের কেশবপুরে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সরকারি মানবিক সহায়তা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতা সারাফাত হোসেন সোহান (২৫) মারা গেছেন। বুধবার রাতে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সোহান কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন। সংঘর্ষের ঘটনা উল্লেখ করে সোহানের চাচা আবুল কালাম আজাদ কেশবপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত ছাত্রলীগ নেতা সারাফাত হোসেন সোহান কেশবপুর পৌরসভার ৯ নম্বর বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের আব্দুল হালিমের ছেলে। তার চাচা আবুল কালাম আজাদ কেশবপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং গত পৌর নির্বাচনে বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন।
গত ৭ মে (শুক্রবার) বেলা ১১টার দিকে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার ৯ নম্বর বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুল এবং পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ গ্রুপের সমর্থকরা বালিয়াডাঙ্গা সাইক্লোন সেল্টারে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে ৪শ ৫০ টাকা করে সরকারি সহায়তা দেওয়ার সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দু’পক্ষের ১৫ জন আহত হয়।
এর মধ্য সংঘর্ষে আবুল কালাম আজাদের ভাইপো ছাত্রলীগ নেতা সারাফাত হোসেন সোহান মারাত্মক আহত হলে তাকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তিনি মারা যান।
সোহানের মৃত্যুর খবরে বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই পুলিশ নিহত সোহানের বাড়িতে উপস্থিত হন। এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষে আহত সোহান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ওই মামলার আসামি বালিয়াডাঙ্গা এলাকার দাউদ গাজীর ছেলে মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের অভিযান চলছে।