স্টাফ রির্পোটার, কেশবপুর (যশোর) :
কেশবপুরে সালিশি বৈঠকে উপস্থিত না হওয়ার অপরাধে প্রতিপক্ষের হামলায় এক পরিবারের স্বামী-স্ত্রী সহ ৪ জন আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ায় তাদেরকে হুমকি প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনায় সুমন দাস নামে এক ব্যক্তি মঙ্গলবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
জানা গেছে, গত ১৫ মে (শনিবার) কেশবপুর উপজেলার ভেরচি দাস পাড়া এলাকার চায়না দাস তার প্রতিবেশী ভাশুর অশোক দাসের গাছ থেকে জামরুল পেড়ে খায়। বিষয়টি নিয়ে অশোক দাস ভেরচি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামানের কাছে অভিযোগ দেন।
ইউপি সদস্য মোবাইল ফোনে চায়না দাসের অনার্স পড়–য়া ছেলে সুমন দাসকে (২৫) এলাকার একজন আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে যেতে বলেন। সুমন সেখানে গেলে তিনি তাকে মারধরের হুমকি দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ভেরচি বাজারে মুক্তি সংঘে সালিশি বৈঠকে বাবা-মাকে নিয়ে হাজির থাকার নির্দেশ দেন।
সালিশে বৈঠকে হাজির না হওয়ায় শনিবার রাত ১০টার দিকে ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে একই গ্রামের শরিফুল খাঁ, হামিদ মোল্যা, মিন্টু সরদার, রাজ্জাক সরদার, সুধাময় কুন্ডুসহ অজ্ঞাতনামা ২/৪ জন চায়না দাসের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলে সুমনের খোঁজ করেন।
তাকে না পেয়ে তারা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকায় প্রতিবাদ করলে চায়না দাস (৪৫), তার স্বামী গোবিন্দ দাস (৫৫), মেয়ে লক্ষী দাস (২২) ও ননদ পারুল দাসের উপর হামলা করে এলোপাতাড়ি মারপিঠ করে। ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আহতাবস্থায় তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনা উল্লেখ করে চায়না দাস উপরোক্ত ব্যক্তিদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় উক্ত বিবাদীগণ ১৬ মে (রোববার) রাত ৯টার দিকে কেশবপুর শহরের থানার মোড়ে সুমন দাসকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও তাকে স্ব-পরিবারে ভারতে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনায় সুমন দাস মঙ্গলবার পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে ঘটনা উল্লেখ করে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ সাংবাদিকদের বলেন তাকে(সুমন দাস)কে কোন হুমকী দেওয়া হয়নি। কেশবপুর থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক ফিরোজ আহমেদ সাধারণ ডায়েরি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।