হোম অন্যান্যসারাদেশ কেশবপুরে বোনকে মারপিট ও ভাংচুরের ঘটনায় থানায় মামলা, আটক ২ অভিযুক্ত

স্টাফ রির্পোটার, কেশবপুর(যশোর) :

যশোরের কেশবপুর পৌর শহরের সাবদিয়া এলাকায় পৈতৃক সম্পত্তি ফেরৎ চাওয়ায় ভাইদের বিরুদ্ধে ছোট বোনকে মারপিট ও আসবাবপত্র ভাংচুরের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা হয়েছে। এঘটনায় শনিবার বিকালে আব্দুল্লাহ বিশ্বাস ও আব্দুল মালেক বিশ্বাসকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর পৌর শহরের আলতাপোল এলাকার মৃত ইয়াসিন বিশ্বাসের ছোট মেয়ে রহিমা খাতুন তার ভাগের জমি বড় ভাই মহিদুল বিশ্বাসকে দেখভালের দায়িত্ব দেন। ওই জমিতে ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে নিজেই ভোগদখল করে আসছে। সম্প্রতি রহিমা খাতুন তার অপর ভাই ইব্রাহিম বিশ্বাসের বাড়িতে বসবাস শুরু করে। সে কারনে তার পৈতৃক সম্পতি বুঝে দিতে বড় ভাই মহিদুল বিশ্বাসকে অনুরোধ করেন। কিন্তু সুচতুর মহিদুল বিশ্বাস বোনের জমি আত্মসাৎ করার লক্ষে গত ১৪ মার্চ আলতাপোল এলাকার মৃত ইয়াসিন বিশ্বাসের ছেলে মহিদুল বিশ্বাসের নেতৃত্বে মৃত শহিদুল বিশ্বাসের ছেলে কেশবপুর হাজ্বী আব্দুল মোতালেব মহিলা কলেজের নাইট গার্ড তবিবুর রহমান, ইব্রাহিম হোসেন বিশ্বাসের ছেলে আরাফাত হোসেন নয়ন, লুৎফর বিশ্বাসের ছেলে মাহমুদুল বিশ্বাস, মহিদুল বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, মেহের বিশ্বাসের ছেলে লুৎফর রহমান বিশ্বাস, মৃত শহিদুল বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল মালেক ও আব্দুল খালেক, মজিদপুর গ্রামের নুর মোহম্মাদ মোড়লের ছেলে রিজাউল মোড়লসহ আরও ৫/৬ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বর্তমানে সাবদিয়া এলাকায় বসবাসরত ইব্রাহিম হোসেন বিশ্বাসের বসতঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় ছোট বোন রহিমা খাতুন এর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে মাথায়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ওই সময় হামলাকারীরা ইব্রাহিম হোসেন বিশ্বাসের বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় এলাকাবাসি রহিমা খাতুনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এঘটনায় জখমীর ভাগ্নে শামীম সরদার বাদী হয়ে যশোর আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে কেশবপুর থানায় মামলা রুজু হয়। শনিবার বিকেলে মামলার এজাহার নামীয় আসামী মহিদুল বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল্লাহ বিশ্বাস ও মৃত শহিদুল বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল মালেক বিশ্বাসকে আটক করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক হাসান মাহমুদ বলেন, এ মামলার দু’জন কে আটক করা হয়েছে।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন