নিজস্ব প্রতিনিধি ,কেশবপুর :
যশোরের কেশবপুরের মজিদপুর ইউনিয়নের প্রতাপপুর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিষ্টিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নামে সাইনবোর্ড টানিয়ে শিক্ষক নিয়োগের নামে লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দেয়া অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৮ সালে সাইনবোর্ড টানিয়ে প্রধান শিক্ষক পরিচয়ে হাসানপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রশিদ বিশ্বাসের ছেলে মোঃ কামরুজ্জামান প্রতাপপুর গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলাম মুকুলের স্ত্রী মোছা রেখা খাতুনকে আয়া পদে চাকুরী দেয়ার নামে ৪লাখ টাকার চুক্তিতে এক কালীন ১লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।
এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা ও নির্মাণ কাজের জন্য পণ্য সামগ্রী হিসেবে সিমেন্টে বালি ও রড দোকান থেকে ২লাখ ২৬ হাজার ৫শ টাকার মালামাল ক্রয় করে দেয়া হয়। এ ছড়াও একই পদে কয়েকজন মহিলার নিকট থেকে টাকা গ্রহণ করে। মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে যশোরের স্পন্দন পত্রিকায় ২০ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে একটি নিয়োগ বিঞ্জপ্তি প্রকাশ করে।
এর পর প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাল পরিবর্তন করে ২০১০ সাল দেখিয়ে বিভিন্ন দফতরে কাগজ পত্র প্রেরণ করার কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন । প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে রেখা খাতুনকে চাকুরী না দিয়ে এবং নেয়া টাকা ফেরৎ না দিয়ে আত্মসাৎ চেষ্টা করে আসছেন।
২০১০ সালে স্কুলটির প্রতিষ্ঠা সাল উল্লেখ করে ভুয়া নিয়োগ পত্রের কাটিং ,প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড অফিসারের সীল স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ পত্র তৈরী করে সরকারে রসাথে প্রতারণা করে অনুমোদনের জন্য শিক্ষা দফতরে প্রেরণ করেছে। টাকা ফেরৎ না দিয়ে সে টালবাহানা করে চলেছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর টাকা উদ্ধারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আবেদন করেছেন মঞ্জুরুল ইসলাম মুকুল। এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্র অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বিকার করেছেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামানের সেল ফোনে সংযোগ না পওয়ায় তার বক্তব্য প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।