স্টাফ রির্পোটার, কেশবপুর (যশোর) :
যশোরের কেশবপুরে সরকারি প্রণোদনার অর্থ বিতরণকালে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মারাত্মক জখম ছাত্রলীগ নেতা সোহান হোসেন (২৫) দীর্ঘ ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে গত ১২মে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।
এ ঘটনায় নিহত ছাত্রলীগ কর্মী সোহানের চাচা পৌরসভার বালিয়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে কেশবপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড (বালিয়াডাঙ্গা) কাউন্সিলর ইবাদত সিদ্দিকী বিপুলসহ ৭ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন। গত ১৩ মে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ মামলার প্রধান আসামী মেহেদী হাসানকে বাঘারপাড়া শহর থেকে আটক করেছে।
এলাকাবাসি ও থানা পুলিশ জানায়, গত ৭ মে ওই বালিয়াডাঙ্গা সাইক্লোন সেল্টারে অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে করোনা ও ভিজিএফ‘র সরকারি মানবিক সহায়তার নগদ অর্থ বিতরণকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুল ও আবুল কালাম আজাদ সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা সোহান হোসেন, নাজমুল হোসেন, জসিম, ফতেমা বেগম, কুদ্দুস, সালাম, রাজুসহ উভয়পক্ষের ১০ আহত হয়।
এরমধ্যে মারাত্মক জখম সোহান হোসেন ও নাজমুল হোসেনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ৭ মে আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে মেহেদী হাসান, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড (বালিয়াডাঙ্গা) কাউন্সিলর ইবাদত সিদ্দিকী বিপুল, সোহেলসহ ৭ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেন। যার নং- ২। এ ঘটনার পর থেকে কাউন্সিলর ইবাদত সিদ্দিকী বিপুল, মেহেদী হাসানসহ মামলার অন্য আসামীরা গা ঢাকা দেয়।
এদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারাত্মক জখম ছাত্রলীগ নেতা সোহান হোসেন দীর্ঘ ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১২মে দিকাগত রাত সাড়ে ১২টায় না ফেরার দেশে চলে যান। ১৩ মে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ মামলার প্রধান আসামী মেহেদী হাসানকে বাঘারপাড়া শহর থেকে আটক করলেও অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছে।
নিহত ছাত্রলীগ নেতা সোহান হোসেনের মরদেহের ময়না তদন্ত শেষে ১৩ মে বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।