স্টাফ রিপোর্টার:
কেশবপুর উপজেলার সারুটিয়া বিলে মাছের ঘেরের মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষরা ৬ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এঘটনায় ঘের মালিক সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস বাদী হয়ে উপজেলা মৎস্য লীগের সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মনজুর রহমান সহ ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সুফলাকাটি ইউনিয়নের সারুটিয়া ছোট বিলে সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাসের ৮৫ বিঘা জমির একটি মাছের ঘের রয়েছে। ওই ঘের নিয়ে প্রায় ১ বছর ধরে সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাসের সাথে সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমানের বিরোধ চলে আসছে। গত ১৪ নভেম্বর সকালে সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস জেলেদের নিয়ে ঘেরে মাছ ধরতে যায়। এসময় এসএম মুনজুর রহমানের হুকুমে আলমগীর সরদার, দীনু বিশ্বাসের নের্তৃত্বে ২০/২৫ জন যুবক হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, দা, সাবোল ইত্যাদি অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে মাছ ধরতে নামা জেলেদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ঘের থেকে বের করে দেয়। এসময় সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মামুন বিশ্বাস ও ইকবাল হোসেন মাছ ধরা বন্ধের কারণ জানতে চাইলে এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে এলাপাতাড়িভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে আব্দুল্লাহ সরদার, বিল্লাল হোসেন, ইকবাল হোসেন গুরুতর জখম হয়। এদের মধ্যে ইকবাল সরদার, আব্দুল্লাহ সরদার, বিল্লাল হোসেন ও ইকবাল হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এঘটনায় সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস বাদী হয়ে আলমগীর সরদার, দীনু বিশ্বাস, মিকাইল মোল্যা, মো. মামুন, এসএম মুনজুর রহমানসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ওসি তদন্ত খান শরিফুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দুদফা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এব্যাপারে সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস বাদী হয়ে ১৭ জনের নামে থানায় অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।