কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লা শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ডে বাস শ্রমিক সমিতির সদস্য ও ড্রাইভার এবং হেলপারদের সিন্ডিকেট সদস্যরা মিলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ার কলেজে ছাত্রের পকেট হতে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ৪/৫ জনে ছাত্রকে আটক করেন এবং শ্রমিকরা ছাত্রদের উপর নির্যাতন চালানোর সংবাদে তাৎক্ষনিক ভিক্টোরিয়া কলেজ হল রুমের থাকা ছাত্ররা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।এসময় আটককৃত ছাত্রদের উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিছু বুঝার আগে কুমিল্লা শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিকরা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী উপর ক্ষিপ্ত হয়ে দ্বিতীয় দফা হামলা চালায়। ঘটনাস্থালে ১৪/১৫ জন ছাত্রকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য নিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের একজন স্টাফ ছাত্রের পকেটে হতে একটি মোবাইল ফোন ছুরি করার সময় ছাত্ররা হাতে মাতে ধরার পরে।তাদের বাসস্ট্যান্ডের একটি সিন্ডিকেটের সদস্যরা মিলে ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রদের উপর নির্য়াতন চালায়। পরবর্তীতে ৪-৫ জন ছাত্রকে বন্দি করে নির্মমভাবে অত্যাচার চালায়।এসংবাদ পেয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজে হল রুমের ছাত্ররা তাদের উদ্ধার করতে গেলে ঘটনাস্থলে সকল ছাত্রদের উপরে শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিকরা রান দা, ছুরি, বন্দুক, ককটেল নিয়ে চারদিক থেকে ঘিরে আক্রমণ চালায়।এতে ঘটনাস্থলে ১৪/১৫ জন ছাত্রকে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করে।তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

এঘটনায় জড়িত শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিক আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার দাবি জানান বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। এমন নেকারজনক ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এমন নেকারজনক ঘটনা সুষ্ঠু বিচার দাবি করে এবং অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানান।

তারা আরো বলেন, আমরা চাই, আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করছে, তাদেরকে আপনাদের সন্তান মনে করে সুরক্ষিত রাখা আপনাদের দায়িত্ব। এবিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এসে ঘটনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।