জাতীয় ডেস্ক:
এডিস মশা নিধনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আমদানি করা জৈব কীটনাশক বিটিআই (বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস) নিয়ে বেশ কয়েকদিন থেকে আলোচনায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এরইমধ্যে ডিএনসিসির কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাসারের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন বাংলাদেশ ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের কীটতত্ত্ববিদরা।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করেন কীটতত্ত্ববিদরা। এসময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন একটি চক্র গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা।
এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নতমানের ল্যাব না থাকা সত্ত্বেও বিটিআই কীটনাশকটিকে তারা ডেঙ্গু মশার লার্ভা নিধনে কিভাবে কার্যকরী বললো এবং গবেষক কবিরুল বাসারের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কীটতত্ত্ববিদরা। পাশাপাশি ডেঙ্গুর বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দায়ী করেছেন তারা।
সভাপতির বক্তব্যে কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ডিএনসিসির মশা নিধন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। তারা মশা মারতে যে কীটনাশক প্রয়োগ করছে, তার প্রয়োগ প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা নিয়ে আরও গবেষণা করতে হবে। তারা মশা নিধনে পানিতে হাঁস, ব্যাঙ ছাড়ছে। মশা নিধন করতে ফড়িং ছাড়ছে, এসব কার্যক্রম খুবই হাস্যকর, লোক দেখানো। এসব কার্যক্রমের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।’
ডেঙ্গু মোকাবেলায় কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন সংস্থাটির কীটতত্ত্ববিদরা।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে ডিএনসিসির জন্য সিঙ্গাপুরের বেস্ট কোম্পানির কাছ থেকে কেনা হয় লার্ভা ধ্বংসকারী বিটিআই কীটনাশক। যা গত ৭ আগস্ট অনেকটা আয়োজন করেই প্রয়োগ করা হয়।
আমদানিকারক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই কীটনাশক সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল লিমিটেডের প্রস্তুত করা বলে দাবি করলেও সেটা সত্য নয় বলে দাবি করছে কোম্পানিটি। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরের ওই কোম্পানি নিজেদের ফেসবুক পেজে একটি সতর্কবার্তাও দিয়েছে।
বেস্ট কোম্পানি জানায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাছে তারা লার্ভা ধ্বংসকারী কীটনাশকটি বিক্রি করেননি। এরপর থেকেই এ নিয়ে চলছে আলোচনায়-সমালোচনা।