আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত সপ্তাহে রবার্ট এল কার্লিন ও সিগফ্রিড এস হেকার নামে দুইজন প্রখ্যাত বিশ্লেষক একটি বোমা ফাটিয়েছেন। তা হলো, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন নাকি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের দাবি, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পুনর্মিলন ও দুই কোরিয়াকে একত্রিত করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন কিম; তার বদলে তিনি উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হতে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন।
সাবেক সিআইএ বিশ্লেষক রবার্ট এল কার্লিন এবং পরমাণু বিজ্ঞানী সিগফ্রিড এস হেকার- এই দুই বিশ্লেষক বেশ কয়েকবার উত্তর কোরিয়ায় গেছেন এবং এ নিয়ে গবেষণা করেছেন।
‘বিশেষজ্ঞ সাইট ৩৮ উত্তর’ নামে একটি নিবন্ধে তারা বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি ১৯৫০ সালে তার দাদার মত কিম জং উনও যুদ্ধের ক্ষেত্রে একটা কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।
এই নিবন্ধ প্রকাশ হওয়ার পর ওয়াশিংটন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিপদের ঘণ্টা বেজে উঠেছে। উত্তর কোরিয়ার সর্বত্র বিতর্কের ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার প্রায় সাতজন বিশ্লেষকের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। বেশিরভাগ বিশ্লেষকই যুদ্ধের এই থিওরির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। কেউ এই ধারণার সঙ্গে একমত হননি।
নেদারল্যান্ডভিত্তিক ক্রাইসিস গ্রুপের একজন কোরিয়া পর্যবেক্ষক ক্রিস্টোফার গ্রিন। তিনি বলেন,
কিম জং উনের শাসনকালকে একটি চরম সম্ভাব্য বিপর্যয়ের মুখে ফেলা উত্তর কোরিয়ার জনগণের জন্য সুখকর নয়। তারা দুঃখজনকভাবে ম্যাকিয়াভেলিয়ান বলে প্রমাণিত হয়েছেন।
উত্তর কোরিয়াও প্রায়ই পশ্চিমা দেশগুলোকে আলোচনার টেবিলে আনতে কাজ করে কিন্তু তারা এটাও জানে যে, উনের এই পদক্ষেপ উপেক্ষা করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। এর মধ্যদিয়ে উনের শাসনকাল যে বিপদের মুখে পড়তে যাচ্ছে সে সম্পর্কেও অবহিত রয়েছে উত্তর কোরিয়ার জনগণ। কিন্তু কিমের সিদ্ধান্তকে এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই, তারা ভালোকরেই সেটা জানে।
যদিও অনেকে মনে করেন যুদ্ধ এখনও এড়ানো সম্ভব। আবার কারও কারও মতে, সেক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে হয়ত হামলা চালানো শুরু করতে পারে উত্তর কোরিয়া।