আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মাত্র এক সপ্তাহ আগেও পর্যটকে লোকারণ্য ছিল পেহেলগাম শহরসহ পুরো কাশ্মীর। ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ খ্যাত পেহেলগামের বৈসারনের তৃণভূমিতে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।
এবার জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলের ৮৭টি পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে ৪৮টি জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার এবং বাকিগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে এসব কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। একটি সরকারি নির্দেশে এমন তথ্য জানানো হয়।
বুদগামের দুধপত্রি এবং অনন্তনাগের ভেরিনাগের মতো বেশ কয়েকটি পর্যটন স্থানও পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের আয়ের একটি প্রধান উৎস ছিল কাশ্মীরের এসব পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পহেলগাম হামলার পর এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।
গত সপ্তাহে বন্দুকধারীর হামলার পর ভীত হয়ে পর্যটকরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। অন্যদিকে অনেক ভ্রমণকারী তাদের আসন্ন ভ্রমণ বাতিল করেছেন।
এদিকে, এই সিদ্ধান্তের পর স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, পর্যটক কমে যাওয়ার ফলে তাদের আয় এবং জীবিকার উপর তা বড় প্রভাব পড়বে। কারণ শহরটি এখনও গত সপ্তাহের ভয়াবহতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি।
তারা হামলার নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভও করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে তাদের সংহতি প্রকাশ করেছে।
গতকাল এক বিশেষ বিধানসভা অধিবেশনে এক জোরালো ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেন, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই প্রথম জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং একটি বড় হামলার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছে।