ঝিনাইদহ অফিস:
বিএনপি জামায়াত কর্মীদের পিটানোর জন্য তৈরী করেছিলেন নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী , দখল করেছেন একাধিক হিন্দুদের জমি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৭ নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলী হোসেন অপু ও তার ছেলে শেখ হাসিবুল ইসলাম এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় জনমনে আতঙ্ক কাটেনি । আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের মুরগি ফার্মে ৮ হাজার বেতনের চাকুরি করা আলী হোসেন অপু হঠাতই রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বনে যান । প্রথমবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও দ্বিতীয়বার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কাউকে মনোনয়ন কিনতে দেননি তিনি । ক্ষমতা স্থায়ী করতে তৈরী করেন নিজস্ব অস্ত্রধারী বাহিনী ।
এ বাহিনীর নেতৃতে ছিল তার বড় ছেলে শেখ হাসিবুল ইসলাম । কয়েক বছরে বিএনপি জামায়াত দমনের সাথে বাবা ছেলের নেশা হয়ে দাঁড়ায় ভুমি দখল ও চাঁদাবাজি । উপজেলার দুলাল মুন্দিয়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধু দাস নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় তিন বিঘা জমি জোরপূর্বক লেখা নেওয়া , রায়গ্রামের সমির ঠাকুরের ৬ বিঘা পুকুর জোর পূর্বক দখল , ইউনিয়নের অধিকাংশ সরকারী খাস জমি নিজ পরিবারের নামে ডিসিআর কাটাসহ একাধিক অভিযোগ আছে আলী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে । একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর হোতা ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুর ভয়ে সেবা প্রত্যাশী নারীরা ইউনিয়নে একা যাওয়ার সাহস পেত না ।
খোজ নিয়ে জানা গেছে , আলী হোসেন অপু তার নিজ ইউনিয়ন পরিষদের ২য় তলায় একটি কক্ষ বিশ্রামের জন্য বরাদ্দ করেন । যে কক্ষ জনগনের কাছে গ্রিন রুম হিসাবে পরিচিত ছিল । এ গ্রিন রুমে পছন্দের নারী নিয়ে সময় কাটাতেন তিনি । এছাড়া বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পিটাতেন আলী চেয়ারম্যানের অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী ও সে নিজে । ২০২২ সালে দুলাল মুন্দিয়া বাজারে মিছিলে যাওয়ার অপরাধে হায়দার আলী নামের এক বিএনপি কর্মীকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে আলী চেয়ারম্যানের ছেলে হাসিবুল ।
প্রতিনিয়ত সন্ধ্যায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে আলী চেয়ারম্যানের ছেলে শেখ হাসিবুল ইসলাম অস্ত্রধারী ক্যাডার নিয়ে ইউনিয়নের সব গ্রামে মোটরসাইকেলে মহড়া দিতেন । ইউনিয়নের অসংখ্য মানুষ প্রতিবেদককে জানান , আলী চেয়ারম্যান ও তার ছেলের সাথে পিস্তল সহ নানা অস্ত্র দেশীও থাকতো সব সময় । কথা বললেই হুমকি দিয়ে পিস্তল ঠেকানো হতো শরীরে । আর যখন তখন মারধর করা হতো যে কাউকে ।
অভিযোগের ব্যাপারে রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহারিত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় ।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু আজিফকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি ।